রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে যাবতীয় জট কাটিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন বাবুল

0
122

কলকাতা: গত বছরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তারপর চলতি বছরেই বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন উপনির্বাচনে। শাসক দলের বিধায়ক হিসাবে জয়ী হলেও তাঁর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল নানা জটিলতা। অবশেষে সেই জট কাটিয়ে আজ তৃণমূল বিধায়ক হিসাবে আজ শপথবাক্য পাঠ করেন বাবুল সুপ্রিয়।

যাবতীয় টানাপোড়েন শেষে আজ, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করান। তৃণমূল বিধায়কের এই শপথগ্রহনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যা রানী টুডু, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ সহ অনেকেই। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে জয়ের প্রায় ২৪ দিন পরে শপথ নিলেন বাবুল। সাধারণভাবে বিধানসভার স্পিকার বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন বাবুলের বাবুল সুপ্রিয়র শপথ সংক্রান্ত চিঠি অধ্যক্ষকে এড়িয়ে রাজভবন থেকে সোজা ডেপুটি স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাবুলকে শপথ গ্রহণ করাতে রাজ হচ্ছিলেন না যেহেতু অধ্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছিল দড়িটানাটানি। এতেই নষ্ট হয়েছে সময়। তবে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে এবার।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- অবৈধভাবে উপার্জন, তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা লুট করল খোদ পুলিশ কর্তারা

শপথ নেওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, “ঐতিহাসিক পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অংশ হতে পেরে দারুণ লাগছে। এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।” যাবতীয় জট কাটিয়ে সমস্ত কিছু সুষ্ঠু ভাবে মিটে যাওয়ার পর সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিধায়ক। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি আরও বলেছেন, “ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে বড় জয় হল। জেতার পর থেকেই নিজের মতো করে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু অফিসিয়ালি কিছু করতে পারছিলাম না। সব সময় যে কোনও পরিস্থিতিতে বালিগঞ্জের বাসিন্দার পাশে থাকব।” বাবুলের কথায়, “নো ভোট ফর বাবুল বলে ক্যাম্পেন চালিয়েছে, যে আমাকে হারানো জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন, আমি এখন তাঁরও বিধায়ক।” বাবুল ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ বিধানসভা আসন যেটি প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সেই আসনেই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ ও বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে পরাজিত করেন। বালিগঞ্জ থেকে ২০,০৩৮ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বাবুল।