দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে বলছেন পুরপ্রধান, কাউন্সিলরের অভিযোগ ঘিরে সরগরম কাঁথি

0
337

কাঁথি: এবার কি বিনিদ্র রজনী কাটাবেন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না? অবৈধ নির্মাণের প্রসঙ্গে অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিলেন ১১ নং ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সুময় দাস। অবৈধ নির্মাণের দুর্নীতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের বেআইনি কাজকর্ম ঢাকতে পুরপ্রধান সুময়বাবুকে ‘সমঝোতার’ পরামর্শ দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি! নির্দল প্রার্থীর এহেন দাবিকে কে্ন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে কাঁথির রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠছে, কাঁথির বর্তমান পুরপ্রধান তথা এককালে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সুবল মান্না তাহলে কি দুর্নীতির সঙ্গে আপস করছেন?

বস্তুত, রাজ্য জুড়ে সুচারু জল নিকাশির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাঁথিতে উলোট পুরাণ! বাসিন্দারা বলছেন, কে শোনে কার কথা? এই ওয়ার্ডে নয়নজুলির উপর ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডজুড়ে চলছে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। সে নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নির্দল কাউন্সিলর সুময় দাস।

- Advertisement -

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ১১ নং ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সুময় দাস বলেন, “পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ কুমার বেরাকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান পুরপ্রধান সুবল মান্না অবৈধ কাজকর্ম করছেন! প্রাক্তন কাউন্সিলর তরুণবাবুর সময়ের দুর্নীতির বিষয়ে আমি পুরপ্রধানকে বলতে গিয়েছিলাম৷ উনি(পুরপ্রধান) আমাকে বললেন, তরুণবাবুর সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে নিতে! বললেন, প্রাক্তন কাউন্সিলারের আমলের অবৈধ বাড়িগুলির টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য! আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, জল নিকাশি বন্ধ করে অবৈধভাবে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে! সেই বাড়ির টাকা ছাড়তে আমি পারব না! বাকি বাড়ি আমি টাকা ছেড়ে দিয়েছি! বাড়ি তৈরির নাম করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর! তার প্রমাণ ও সাক্ষী সবকিছুই দেব!’’ বস্তুত, সম্প্রতি সেই কারণেই পুরপ্রধানের উপস্থিতিতে তরুণবাবু তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিল বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন সুময়বাবু৷

একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের পুরপ্রধান সততার কাজ চান না! উনি নিজে বলছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে! পাঁচ বছরে আমি অনেক কিছু বের করব! আপনারা শুধু ধৈর্য্য রাখুন! শুধু মাত্র একটা কথা বলব, পুরসভা চোরের আখড়ায় পরিণত হয়েছে! তাদের ঘুম ছুটে গিয়েছে! পাঁচ বছর উনারা ঘুমাতে পারবেন না! শুধুমাত্র আমার জন্য!” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না বলেন, “নির্দল কাউন্সিলর ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজকর্ম করছেন! বাড়ি তৈরির জন্য আগেই সরকারি নির্দেশ মতো টাকা পেয়েছেন। এখন বাকি টাকা না দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে নির্দল কাউন্সিলর৷” বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি৷ কাঁথি পুরসভার বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত হোক৷ তাহলেই তৃণমূলের সততার প্রতীক ফাঁস হয়ে যাবে!’’

আরও পড়ুন: কলকাতায় এলেন বিজেপির জাত-গোখরো মিঠুন চক্রবর্তী