মুঙ্গেরকে পিছনে ফেলে বোমা-বন্দুক শিল্পে অনেক এগিয়ে বাংলা: Sukanta Majumdar

0
90

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: বগটুই কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই রাজ্যজুড়ে বোমা উদ্ধারের নির্দেশ জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর টানা ১০ দিনের তল্লাশি অভিযানে রাজ্যের জেলায় জেলায় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র৷ যদিও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যে পরিমান বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ‘তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র’। দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

শনিবার বাঁকুড়ায় দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন সুকান্ত। একই সঙ্গে অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্ব বানিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মুঙ্গেরকে পিছনে ফেলে এখন এরাজ্য বোমা-বন্দুক শিল্পে অনেক এগিয়ে গেছে। জানি না এই সব লগ্নিকারীদের ‘বিজিবিএসে’ আমন্ত্রণ জানানো হয়েলেন কিনা!’’ দাবি করেছেন, ‘‘বর্তমান শাসক তৃণমূলের কোন্দলেই এরাজ্য বোমা-গুলির স্তুপে পরিণত হয়েছে৷

- Advertisement -

টেনে এনেছেন বীরভূমের শাহেনশনা অনু্ব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ৷ টানা ১৭দিন এসএসকেএমে থাকার পর আপাতত এক মাসের ‘বেডরেস্টে’ নিউ টাউনের চিনারপার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন অনুব্রত৷ এবার সিবিআই কি তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে, এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে ঠিক তখনই সুকান্তের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘গরু পাচারের মতো স্পর্শকাতর মামলা ফেলে রাখা উচিত নয়৷ সিবিআইয়ের উচিত, কেসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ প্রয়োজনে এখনই অনুব্রতকে জেরা করা৷’’

বিশ্বভারতীর পাঠ ভবনে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রের পরিবারের ধর্ণার জেরে নতুন করে তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কৌশলী মন্তব্য, ‘‘উপাচার্য একজন বিদগ্ধ পণ্ডিত। উনি জানেন কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়। বাড়িঘর ভাঙচুর না করে দু’পক্ষের আলোচনা করা উচিৎ। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত সংস্থা, প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য যা যা করা উচিৎ উপাচার্য চাইলেই সেটা করতে পারেন৷’’

আরও পড়ুন: অন্ডকোষের সমস্যা মিটলেও মন ভাল নেই অনুব্রতের, যদি সিবিআই ডাকে…