সতর্ক থাকুন, নাহলে তৃণমূল সব লুট করে নেবে: Sujan Chakraborty

0
60
Sujan Chakraborty

নন্দকুমার: “রাজ্যের মানুষ সাবধান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে নয় লুটেরা হিসাবে মানুষের কাছে আসছেন। গরুর বাছুর সোনা দানা টাকা-পয়সা সাবধানে রাখছেন তো? সব তৃণমূল লুট করে নিয়ে চলে যাবে!” পূর্ব মেদিনীপুরে এসে এমনই কটাক্ষ করেন সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)৷ এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)-র বক্তব্যের সঙ্গে একমত বিজেপিও। যদিও সিপিএম নেতার বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস।

বিস্তারিত খবর, লাইভ ভিডিও সহ সমস্ত রকম আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

- Advertisement -

আবাস যোজনা দুর্নীতি নিয়ে সিপিএম নেতাকর্মী সমর্থকদের ডেপুটেশনকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার। এরপরেই পুলিশ ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল নন্দকুমার। মঙ্গলবার আবারও রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে নন্দকুমার বিডিও অফিসের ডেপুটেশন দিতে আসেন সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) সহ কর্মী সমর্থকেরা। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডেপুটেশন দিতে এসে রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। এদিন বিকেলে এলাকা থেকে মিছিল করে এসে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেন তারা। এরপর সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখোমুখি হয়ে ক্ষোপ উগড়ে দেন সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “তৃণমূল ও বিজেপি দু’জনই এক। কারণ তৃণমূল যা যা ঘোষণা করছে বিজেপির কাছ থেকে নকল করে ঘোষণা করছে। শুভেন্দু এটা ঠিক কথা বলেছে। এদিকে আবার ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূলকে নকল করছে।এখানে তৃণমূলকে নকল করে বিজেপি, বিজেপিকে নকল করে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন আরএসএস বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে বিজেপি নরেন্দ্র মোদিরা, পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

আরও পড়ুন-ইঁদুরের উপদ্রবের জন্য ঠিকানা পরিবর্তন বঙ্গ বিজেপি অফিসের

সমাজের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা বার্তা দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, “বিপন্ন মানুষের পাশে বামপন্থীরা। চাকুরি চুরি হচ্ছে তাদের পাশে বামপন্থীরা। আজ যে একাধিক দুর্নীতি হচ্ছে। মানুষের পাশে থাকার জন্য বার্তা দেন বামপন্থীরা। ভোটের জন্য নয় বামপন্থীরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তৃণমূলের দূতরা পাড়ায় পাড়ায় যাবে। কিন্তু লোকেরা বলছে তৃণমূলের দূত, নাকি কি লুটেরাদের ভূত? সাবধান, ঘরবাড়ি, সোনাদানা, গরু বাছুর, ওরা লুট করতে আসছে। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের লুট করেছে তৃণমূল, পঞ্চায়েত ভোট ত্রিপুরাতে লুট করেছে বিজেপি। তৃণমূল ও বিজেপি লুটেরাদের বাহিনী। এরা যে তৃণমূল নেতারা কান ধরে উঠবস করে বলবে আমি কোনদিন তৃণমূল করব না।”

পাশাপাশি রাজ্যের বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “এখানকার বিজেপি নেতারা দিল্লির মন্ত্রীদের পারলে বলুন, আট বছর হয়ে গেল চিটফাণ্ড কাণ্ডে কেন চার্জশিট দিতে পারল না৷ বিজেপি কি চায়? তৃণমূলকে ধরা হোক। থানা ও বিডিও তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সুরক্ষা কথা বলছেন না, নিজেদের সুরক্ষার কথা বলছেন।”

সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আগে তৃণমূলের নেতা ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী একজন। এই কারণে মমতা ব্যানার্জি শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিক পদ দিয়েছেন। তাকে খুশি করেছেন। তৃণমূল চায় না বিজেপি বিপদে পড়ুক, বিজেপি চায় না তৃণমূল বিপদে পড়ুক। এই জন্যই কোর্টে রক্ষাকবচ। পশ্চিমবঙ্গের মানব অধিকার কমিশন নেই। টাকা ও অস্ত্র, দুর্নীতি ও দুষ্কৃতি তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। কেন্দ্রের সরকার বন্দেমাতরম ট্রেন তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। কোন কাজে লাগছে না এই ট্রেনটি। সময়ও কম লাগছে না। শুধুমাত্র বেশি টাকা নিচ্ছে।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের দাবি, “সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ঠিক কথাই বলেছেন। তৃণমূল কর্মীরা দূত হিসেবে আসছেন না। লুটের জন্যই আসছেন।” যদিও এ বিষয়ে কোনও ভাবেই গুরুত্ব দিতে নানা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ” সিপিএমের অপশাসন রাজ্যের মানুষ দেখেছে। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সিপিএমকে একটিও আসন দেয়নি। এত বড় বড় কথা মুখে মানায় না।”