কেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চাহিদা বাড়ছে, ব্যাখ্যা দিলেন Ashok Lahiri

0
115

অনন্যা ঘোষ, কলকাতা: ‘‘রাস্তা এত খারাপ৷ বালুরঘাটের বিধায়ক একদিন ফিরতে গিয়ে মারা পড়বে!’’ বক্তার নাম অশোক লাহিড়ি৷ বালুরঘাটের বিধায়ক৷ বিজেপির ভরা সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই বাংলার উন্নয়ন সম্পর্কে নিজের অভিব্যক্তি সামনে আনলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ৷ একই সঙ্গে জানালেন, ‘‘বাংলার বাসিন্দা হিসেবে বাংলার উন্নয়ন চাই৷ রাজ্যকে সাহায্য করতে চাই। যেকোনও দলকে সাহায্য করব। বলারও দরকার নেই।’’ দলবদলুদের ‘টিচ’ করে যোগ করেছেন, ‘‘সাহায্য করব৷ তবে ধর্ম পালটে সাহায্য করব না। আমি তো বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দিয়েছি!’’

বস্তুত, এদিনই দার্জিলিং থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘পাহাড় হাসছে!’ যার জবাবে তীব্র কটাক্ষের সুরে বালুরঘাটের ‘কাছের মানুষ’ বলেছেন, ‘‘মহাভারতের জতুগৃহের পর দেখলাম বগটুই। বিধানসভার হামলায় দেখলাম অধ্যক্ষের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, এসবই পশ্চিমবঙ্গের অবক্ষয়ের প্রতিফলন৷’’ স্বভাব-রসিক মানুষটি সাংবাদিক বৈঠকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বাংলায় কেন বাড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চাহিদা৷ প্রবীণ অর্থনীতিবিদের পর্যবেক্ষণ, ‘‘রাস্তা নেই, গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। উন্নয়ন নেই। কর্মসংস্থান নেই৷ তাহলে তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চাহিদা বাড়বেই৷’’ পরক্ষণেই সিরিয়াস মুডে জানিয়েছেন, ‘‘এখনও সময় আছে। তৃণমূল পন্থা বদলাক। না হলে বাংলায় অবনতি কেউ ঠেকাতে পারবে না৷’’

- Advertisement -

মনে করিয়ে দিয়েছেন, আয়ের ২৫ শতাংশ ঋণ রাখা যেত। রাজ্য সরকার তা আইন বদলে ৩৪.৫ শতাংশ ঋণ রাখা বৈধ করেছে। রাজ্য সরকারের আয়ের ৪৮ শতাংশ টাকা আসে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া খাজনার ভাগ। ঋণ থেকে আসে ৩৩ শতাংশ টাকা। ১৯ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব নিয়ন্ত্রনাধীন আয়৷ তা সত্ত্বেও রাজ্যের ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ তুলে ধরেছেন পরিসংখ্যান: ২০২১- ৪,৮১,৯৯৯ কোটি টাকা, ২০২২ – ৫, ২৮, ৮৩৩ কোটি টাকা, ২০২৩ – ৫,৮৬,৪৩৮ কোটি টাকা৷

রাজ্যের চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘‘২০১৩-১৬ ছাড়া দেশের GDP এর থেকে GSDP এর বৃদ্ধির হার অনেক কম। অন্য রাজ্যের থেকে পিছিয়ে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ হতাশ। মানুষকে উল্লসিত করতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২১-২২ এ দেশের মধ্যে এগিয়ে বাংলা বলেছেন৷ উত্থানের পিছনে গল্প আছে অনেক। চাহিদা বাড়িয়ে অগ্রগতি বলছেন ওরা।’’ এরপরই রসিকতার সুরে বলেছেন আসল সিরিয়াস কথাটা, ‘‘সিএজি রিপোর্ট এসেছে শুনলাম। কিন্তু তা নেটেও খুঁজে পেলাম না। ২০১৮ এর পর ক্যাগ রিপোর্ট পাব ভাবলাম। কিন্তু তা এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’

আরও পড়ুন: বগটুই গণহত্যার কিনারা করতে ‘ক্রস চেকিং’য়ের কৌশল সিবিআইয়ের