চোরের পিসির বড় গলা, মমতাকে কটাক্ষ অনির্বাণের

0
120

সুমন বটব্যাল, কলকাতা: জনসভা, রোড শোর পাশাপাশি সোশ্যাল সাইটেও সমানতালে টিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জোরালো মত গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি৷ সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর সোশ্যাল সাইট ফলো করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ ‘পিসি যাও যাও যাও’ ভিডিও স্লোগানের মাধ্যমে দিদিকে পিসিতে প্রতিষ্ঠা দিতে মরিয়া টিম গেরুয়া৷ এবার তাতে নয়া সংযোজন, ‘চোরের পিসির বড় গলা’!

সম্প্রতি সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে নিজের ওয়ালে লাইভ অনুষ্ঠানে বিজেপির অন্যতম থিঙ্কট্যাঙ্ক তথা ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘উনি প্রতিটি বিষয়ে এত বেশি বকছেন, এত বেশি কটু কথা করছেন যে বাধ্য হচ্ছি বলতে- চোরের পিসির বড় গলা!’’

- Advertisement -

এই প্রসঙ্গেই টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরস্বতী শ্লোক আওড়ানোর প্রসঙ্গটি৷ সম্প্রতি অমিত শাহ-মোদীর জনসভার পাল্টা হিসেবে পৈলানে দলীয় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ‘আচছা কারকে কান খুলকে শুননা’ বলে মোদী-শাহর উদ্দেশ্যে সরস্বতীর শ্লোক আওড়েছিলেন৷

সেই প্রসঙ্গ টেনেই সোশ্যাল সাইটে অনির্বাণ বলছেন, ‘‘উনি যা বললেন, তাতে তো মানুষ সরস্বতীর আসল শ্লোকটাই গুলিয়ে ফেলবেন৷’’ আক্রমণ শানিয়েছেন, ‘‘উনি যে কমপ্লিটলি অশিক্ষিত সেটা সরস্বতী মন্ত্র উচ্চারণ করে বাংলার মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন!’’ শুধু তাই নয় এবিষয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালেও তীব্র টিপ্পনি কেটেছেন বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক: ‘দিদি, দোহাই আপনার, ছেড়ে দিন/আরশোলা কি আর পাখি হয়?/সরস্বতী নিয়ে একি scene?/ওটি আপনার কর্ম নয়/মন্ত্রটি সুখে থাকুক/কেন খাবেন ভুতের কিল?’

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী একটি জনসভায় বলেছিলেন, ‘যতদিন যাচ্ছে ব্রেনটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে’, সেই ভিডিও ফুটেজটিকে পাশে রেখেই অনির্বাণের কটাক্ষ, ‘‘আমরা আগেই বলেছিলাম, দু একটি স্পট বাদ দিয়ে ওঁনার পুরো ব্রেনটাই খারাপ হয়ে গেছে৷ দেরিতে হলেও উনি সত্যিটা স্বীকার করলেন!’’

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ঘাসফুল এখন মহীরূহ, কলা গাছে পরিণত৷ পাল্টা বয়ান ধেয়ে এসেছে, ‘‘যারা ঘাসফুলকে কলা গাছ করেছে, বাংলার মানুষ তাদেরকেই কলা খাওয়াবে৷’’ কটাক্ষ করেছেন, ‘‘বাংলাকে ১০ বছর ধরে উনি বিষাক্ত চচ্চড়িতে পরিণত করেছেন৷ এবার ভোটের পর বাংলার মানুষ পিসির হাতে উনুন, হাতপাখা ধরাবে। পিসি গঙ্গাসাগরের তিরে বসে উনুন জ্বালিয়ে

লালশাঁক, ডাটা, পালং, শাকডাঁটা দিয়ে চচ্চরি করবেন!’’ এরপরই দিয়েছেন হুঁশিয়ারি, ‘‘উনি তো ফটাফট চটি পড়ে ঘুরে বেড়ান৷ এবার ভোটের পর ওনাকে চটিশ্রী উপাঘী দেওয়া হবে৷ তবে সেটা আমরা ঠিক করব না, বাংলার মানুষ ঠিক করে রেখেছেন৷’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এখন রাজ্যের সিংহভাগ মানুষের হাতে রয়েছে অ্যান্ড্রোয়েট সেট৷ খবরের কাগজ, টেলিভিশন থাকলেও সোশ্যাল সাইটে ফলোয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ আর সেখানেই সুকৌশলে যুক্তি দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠায় আগ্রাসী গেরুয়া শিবির৷ মিশন একটাই: একুশের বাংলাকে পদ্মময় করে তোলা!