জয় শ্রীরাম শ্লোগান বিতর্কে মমতার পাশে দাঁড়ালেন অধীর

0
3904

স্টাফ রিপোর্টার: তবে মেলালেন জয় শ্রীরাম! শনিবার ঠিক সেইভাবেই মমতার পাশে দাড়ালেন অধীর। শনিবার ভিক্টোরিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুরু হওয়ার আগে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীরই পাশে দাড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী।

আরও পড়ুন- আত্মনির্ভর ভারতের এই অগ্রগতি দেখলে খুশি হতেন নেতাজি: প্রধানমন্ত্রী

- Advertisement -

পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানেে আমন্ত্রণ জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে তাল কাটে যখন বক্তব্য রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়। নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সামনেই দর্শক আসন থেকে একাধিকবার জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলা হয়, গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এমনকি মঞ্চে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহল্লাদ যোশী, বাবুল সুপ্রিয়দের সামনেই প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখতে অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।

আর এই জয় শ্রীরাম স্লোগান ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন অধীর। এদিন বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর বলেন, “আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিযে জয় শ্রীরাম স্লোগান রামের প্রতি ভক্তিতে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করতে করা হয়েছে। এটা আগে থেকে পরিকল্পণা করে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হল।”

আরও পড়ুন- ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান শুনে মেজাজ হারালেন মমতা, কিছু না বলেই নেমে গেলেন মঞ্চ থেকে

সরকারী অনুষ্ঠানে এই ধরনের ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ দেওয়ার পিছনে আসলে বিজেপির রাজনীতি আছে বলেই মনে করছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, “আসলে নেতাজিকে নির্বাচনের পণ্য বানাতে চাইছে বিজেপি। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর আরও সাবধানে পা ফেলা উচিত, একটা জাল বিজেপি পেতেছিল, তাতেই পা দিলেন উনি।” অধীরের ব্যাখ্যা, জয় শ্রীরাম স্লোগানে মুখ্যমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বিজেপির প্রচারে সুবিধা করে দিলেন। অধীরের বক্তব্য,” এবার বিজেপি প্রচার করবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী রাম’কে সম্মান করে না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও, এই ইস্যুতে যে কংগ্রেস তার পাশেই আছে, শনিবার তা স্পষ্ট করে দিয়ে অধীর বলেন, ” উনাকে আমরা রাজনৈতিকভাবে বুঝে নেব, কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার অধিকার বিজেপিকে কেউ দেয়নি। আসলে আজ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ডাকাতি করল বিজেপি।” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে অধীরের বার্তা, “আপনি মঞ্চে থাকাকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমাণ করা হল, আর আপনি তাতে মদত দিলেন, এই নিয়ে আপনার কী বক্তব্য, বাংলার মানুষকে তা জানান।”