পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ অন্নগ্রহণ করলে তবে ভোগ পান মা বিমলা, কেন জানেন

0
196

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: পুরীর মন্দিরে যেমন রয়েছেন জগন্নাথদেব। তেমনিই রয়েছেন মা বিমলা দেবী। পুরীর মন্দিরের রক্ষয়িত্রী। শুধু তা-ই নয়। জগন্নাথ দেবের প্রসাদের প্রথম অধিকারিণী-ও তিনিই।

এমনকি জগন্নাথ দেবকে ভোগ না নিবেদন করা পর্যন্ত উপোসী থাকেন মা বিমলা-ও। এর কারণ জগন্নাথ ৫১ সতীপীঠের অন্যতম বিমলা মন্দিরের ভৈরব।

- Advertisement -

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

প্রতিটি সতীপীঠে-ই দেবীর ভৈরব বা সঙ্গী হিসেবে মহাদেব বিভিন্ন নামে অবস্থান করেন। ব্যতিক্রম কেবল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মা বিমলা। দেবী বিমলা ৫১ সতীপীঠের-ই এক পীঠ। কিন্তু তাঁর ভৈরব হিসেবে মহাদেব থাকেন না। বরং জগন্নাথদেব-ই তাঁর ভৈরব।

কেন এই ব্যতিক্রম, জানেন? এর জন্য দায়ী মহাদেব-ই। পুরাকালে একবার মহাদেব বৈকুণ্ঠ থেকে শ্রীবিষ্ণুর অন্নভোগ এনে নিজেই সবটা খেয়ে নিয়েছিলেন। এতে চূড়ান্ত দুঃখিত হন দেবী পার্বতী। তিনিও যে বিষ্ণুর প্রসাদ পেতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: যখন তখন দেহত্যাগ করে আবার বেঁচে উঠতে পারতেন শ্রীরামকৃষ্ণ

বিষ্ণুর সবটাই জানতে পেরেছিলেন। তখন তিনি দেবীকে বর দেন, কলিযুগে দেবী বিমলা রূপে পার্বতী রোজই বিষ্ণু অর্থাৎ জগন্নাথের ভোগ পাবেন। কারণ বাকি সব সতীপীঠে মহাদেব দেবীর ভৈরবরূপে থাকলেও পুরীর মন্দিরে ব্যতিক্রম ঘটবে। সেখানে জগন্নাথরূপী বিষ্ণু-ই দেবীর ভৈরব হবেন। তা-ই হয়ে আসছে।