Tripura election: কার দখলে থাকবে একদা লালমাটি, সেমি ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ক্রমেই তেতে উঠছে এলাকা

0
57

ত্রিপুরা: তেইশের ত্রিপুরায় নির্বাচনের আগে চলতি বছরের পুরভোটকে পাখির চোখে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাই ভোটের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের পালে হাওয়া টানতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারের কাজে লাগিয়েছেন। এই দলে ছাত্রনেতাদের থেকে শুরু করে বাংলার বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা, সকলেই রয়েছেন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, কুণাল ঘোষ, শান্তনু সেন এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই এবার রয়েছেন ত্রিপুরায় ভোটের দায়িত্বে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুর কর্পোরেশনসহ ১৯টি পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলাফল ঘোষণা হবে ২৮ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল।

- Advertisement -

আরও পড়ুন-Dengue: করোনার দোসর ডেঙ্গু, আক্রান্ত ৭৪৭, শীর্ষে কলকাতা, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা

অন্যদিকে এক্কেবারেই পিছিয়ে নেই বিজেপি। তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে ত্রিপুরার শাসক দল। যার ফলে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে চলেছে। আরে সংঘর্ষ জেরেই আহত হচ্ছে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা। আগামী ২৫শে নভেম্বর আগরতলা পুর নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে অশান্তি। অজানা আতঙ্কে ভীত জনগণ। এদিকে এই সব ঘটনার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়-কে আগরতলা রামনগর এলাকায় প্রচারে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি আগরতলা ইন্দ্রনগর সভা করতে গিয়ে সেখানে তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় সহ কলকাতা নগরীর মেয়র, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সভা করতে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা বাঁধা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় সভা করতে দেয়া হবে না বলে একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

আরও পড়ুন-Murder: ফের দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু শাসক দলের নেতার, শোকের ছায়া ক্যানিংয়ের

এপ্রসঙ্গে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় ফিরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন- “আমি ছিলাম ওই মিটিংটাতে। লাইটের তার, মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পাশে একটা ডিজে এনে বাজানো হচ্ছিল। হামলার সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশ কেও ধাক্কা মারে বিজেপির লোকজন। তার মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের এই প্রস্তুতি থেকেই স্পষ্ট, ত্রিপুরার পুরভোটকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল ৷ এই প্রসঙ্গে ‘খাস খবর’র মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ঘটক বলেন, “আসন্ন আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরনিগম নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী। যদি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হয় তাহলে ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসই ক্ষমতা দখল করবে।”