অজান্তেই বিজেপি তৃণমূলের পথ প্রশস্ত করছে, ত্রিপুরা যেতে পারেন মমতাও

0
31

আগরতলা: পিকের আই-প্যাকের ২৩ সদস্যকে উদ্ধার করতে ত্রিপুরায় আজ পা দেওয়ার পরেই বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল কলকাতা থেকে ত্রিপুরা যাওয়া তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। আগরতলা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছিল ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক,ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের কাছে করোনা রিপোর্ট না থাকাকেই উল্লেখ করা হয়েছিল কারণ হিসাবে। তাই নিয়েই ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ইস্যু নিয়েই এবার বিপ্লব গড়ে ঝড় তুলতে পা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনটাই মিলেছে ইঙ্গিত।

ত্রিপুরা দিয়েই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলছে তৃণমূল। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার আগেই ত্রিপুরা পুলিশ সোমবার আগরতলার হোটেল উডল্যান্ড পার্কে আই-প্যাকের ২৩ সদস্যের একটি দলকে আটকে দিয়েছিল। নানা অজুহাত দিয়ে তাঁদের আটকে রাখা হয়, করা হয় নজর বন্দি। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যাবেন ত্রিপুরা এটা তো নিশ্চিত। তবে এই মধ্যেই ত্রিপুরা থেকে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “আমরা দলনেত্রীর নির্দেশে এখানে এসেছি। আইপ্যাকের দলের সঙ্গে কথা বলব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে মমতার: কল্যাণ

ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা গিয়েই বুধবার আগরতলার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এক সুরে বিপ্লব দেবের সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, “বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই তারা এসব করছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।” তবে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন ” এই কথা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একই সঙ্গে ব্রাত্য বসু প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, “বিভিন্ন রাজ্যেই সমীক্ষক দল যায়। বাংলায়ও বিজেপির নেতানেত্রীরা এসেছেন। তাঁদের তো আটকে রাখা হয়নি? এভাবে গৃহবন্দি করা রাখা হয়নি। এখানে আই প্যাক টিমকে কেন আটকে রাখা হল? এই সংস্থার মাথায় প্রশান্ত কিশোর রয়েছেন বলে?”

আরও পড়ুন- BREAKING: মুকুলকে বাংলো দেওয়া হোক! রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দোলা সেনের

যদি তৃণমূল সুপ্রিমো ত্রিপুরা যান তাহলে খেলা যে আরও জমে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আই প্যাকের (I-Pac) কর্মীদের নজরবন্দি করে রাখতে গিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি চাপে পড়ে গিয়েছে। বিপ্লব দেবের সরকার পিকের টিমকে চাপে ফেলতে গিয়ে তাঁদের রাজ্যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের যাওয়ার রাস্তাকে অজান্তেই প্রশস্ত করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এখন এটাই দেখার আগামী দিনে ত্রিপুরাতে ঠিক কি কি ঘটনা ঘটতে চলেছে।