শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজ্যসভায় একযোগে সাসপেন্ড তৃণমূলের ছ’জন সাংসদ

0
102

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খলার শাস্তি। একদিনের জন্য এক সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে একই দলের ছয় সাংসদকে। ঘটনাচক্রে সেই ছয় সাংসদই তৃণমূলের। রীতি ভেঙ্গে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভের দেখানোর কারনেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইড়ু৷

- Advertisement -

রাজ্যসভা সূত্রের খবর, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম নুরকে৷ ঘটনার প্রতিবাদে শাসকের বিরুদ্ধে কন্ঠরোধের অভিযোগ এনে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যসভায় সমস্ত বিরোধীরা একজোট হয়ে বেলা ২টো থেকে প্রতিবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, চলতি বাদল অধিবেশনের শুরুতেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন শান্তনু সেন৷ অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে রিপোর্ট ছিনিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে পুরো বাদল অধিবেশন থেকেই শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান৷

এরই প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন ওয়ালে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের সাংসদরা৷ তারই জেরে ছ’জন সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান৷ এরই প্রতিবাদে এবার ডেরেকের নেতৃত্বে শুরু হল পাল্টা বিক্ষোভ৷ ডেরেক বলেন, ‘‘এই সরকার সংসদের ভিতরে ও বাইরে স্বৈরাচারী নীতি লাগু করতে চাইছে৷ এরই প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন৷ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে আমরাও ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনের পথে হাঁটব৷’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, চলতি বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই যেভাবে অধিবেশন স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে তাতে আদতে সরকারকেই বরং সুবিধে করে দেওয়া হচ্ছে৷ ওই মহলের মতে, সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে একজোট হয়ে সংসদে আলোচনা হলে তাতে হয়তো সাধারণ মানুষের সমস্যার সুরাহা হতে পারে৷ তা না করে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন বাতিল হয়ে গেলে তাতে তো লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভবনায় বেশি৷ নয় কি? সদুত্তর মেলেনি রাজনীতির কারবারিদের৷ কাছ থেকে৷