আরও কোনও জটিলতা নয়, কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার লড়াই হবে থারুর বনাম মল্লিকার্জুনের

0
22
Congress

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সভাপত্রি নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনা। শুক্রবার মল্লিকার্জুন খাড়গে, শশী থারুরের সঙ্গেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি। কিন্তু আজ শনিবার কে এন ত্রিপাঠির মনোনয়নপত্র খারিজ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার অফিসিয়ালি লড়াই হবে শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুনের মধ্যেই।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও রিটার্নিং অফিসার মধুসূদন মিস্ত্রি আজ একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রার্থীদের জমা দেওয়া ফর্মগুলি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সমস্ত কিছু বিবেচনা করেই ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,“প্রাপ্ত ২০ টি ফর্মের মধ্যে, স্বাক্ষরের তারতম্যের কারণে চারটি ফর্ম বাতিল করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের প্রার্থীর ফর্মও স্বাক্ষরের পুনরাবৃত্তি এবং স্বাক্ষর মেলেনি বলেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “মালিকার্জুন খাড়গে এবং শশী থারুর হলেন দুই প্রার্থী। ৮ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। সেদিনই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি কেউ প্রত্যাহার না করে, তাহলে ভোটের প্রক্রিয়া হবে।” অর্থাৎ সরাসরি লড়াই হবে শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুনের।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- নাবালিকাকে ২ বছর ধরে যৌন নির্যাতন, ১৪২ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি অভিযুক্তকে

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর, শশী থারুর একটি টুইট করেছেন। লিখেছেন, “এটা জেনে আনন্দিত যে, যাচাই-বাছাইয়ের পর, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আমি কংগ্রেসের সভাপতির জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেব। দল এবং আমাদের সমস্ত সহকর্মীরা এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে উপকৃত হোক!” জানিয়ে রাখা ভাল, কংগ্রেস দেশে তার হারানো নির্বাচনী এবং রাজনৈতিক অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। দীর্ঘ ২২ বছরের মধ্যে আগামী ১৭ অক্টোবর দলীয় সভাপতি বাছতে প্রথম নির্বাচন করতে চলেছে। রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের হারের পর ক্ষতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করার কারণে পদটি এতদিন খালি ছিল। সেই থেকে সনিয়া গান্ধী গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্তর্বর্তী প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন এটাই দেখার নতুন সভাপতি এসে কংগ্রেসের পুনরায় শক্তিশালী করতে পারে কিনা।