করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে দেশজুড়ে লকডাউনের সুপারিশ চিকিৎসক সংগঠনের

করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করতেই হবে৷ ভেঙে পড়া দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তখন কিছুটা সাজিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে৷

0
451

নয়াদিল্লি: পরপর চারদিন দেশে করোনা সংক্রমণ চার লাখের উপরে৷ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠানো প্রায় ভেঙে পড়েছে৷ বেড নেই, ওষুধের আকালের মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে হাসপাতালগুলি৷ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই লড়াই করতে করতে নিজেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন৷ দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য সরাসরি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)৷ তাদের দাবি, একমাত্র সুপরিকল্পিত সার্বিক লকডাউন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে৷ নাইট কার্ফু বা সাপ্তাহিক লকডাউন করে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে না৷

গতবছর কোভিড মোকাবিলায় ভারত প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছিল৷ কিন্তু এবছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ফের নখ-দাঁত বের করে করোনা৷ মার্চ মাসেই ফের জাঁকিয়ে বসা শুরু করে৷ তারপর থেকেই দেশে কোভিড সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী৷ ২ লাখ, ৩ লাখের পর এবার ৪ লাখের গণ্ডিও পেরিয়ে গিয়েছে করোনা৷ তবুও কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পক্ষপাতী নয়৷ সরকারের এই মনোভাব ও উদাসীনতার কড়া সমালোচনা করেছে চিকিৎসকদের ওই সংগঠন৷ জানিয়েছে, করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করতেই হবে৷ ভেঙে পড়া দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তখন কিছুটা সাজিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যাবে৷ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও মনোবল বাড়বে৷

- Advertisement -

কিন্তু কেন্দ্র তাদের কোনও পরামর্শ কানেই তুলছে না বলে অভিযোগ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের৷ জানিয়েছে, কেন্দ্রের পলিসি মেকাররা বিশিষ্ট চিকিৎসক ও আইএমএর পরামর্শ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে৷ তারা বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধিই করতে পারছে না৷ একমাত্র লকডাউনই পারবে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনে যেতে নারাজ৷ তার পরিমাণ হল ৪ লক্ষ সংক্রমণ৷ মাঝারি থেকে খারাপ অবস্থার রোগীর হারও বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ নাইট কার্ফু কোনও কাজে লাগেনি৷ এই মুহূর্তে অর্থনীতির চেয়ে জীবন বাঁচানো বেশি জরুরি৷ তাই কেন্দ্রকে গভীর ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএ৷ কড়া ভাষায় জানিয়েছে, গভীর ঘুম থেকে উঠে অতিমারির মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কেন্দ্র৷