নয়াদিল্লি: স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভজন (Bhajan) গাওয়ানো এবং সূর্যনমস্কার করা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত উপত্যকায়। রাজ্যে জোরপূর্বক হিন্দুত্ববাদ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এবার স্কুলগুলিতে ভজন বন্ধ করার দাবি জানালো প্রায় ৩০ টি ইসলামিক ধর্মীয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উপত্যকার স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের দিয়ে ভজন গাওয়ানোর ফলে রাজ্যের মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।
শনিবার মুত্তাহিদা মজলিস-ই-উলেমা নামক সংগঠনের প্রমুখ মীরওয়াইজ ফারুক বলেন, “এই স্বেচ্ছাচারীরা কাশ্মীরের মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাভেগকে ক্ষুণ্ণ করছে।” স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভজন গাওয়ার নির্দেশিকার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। এদিন শ্রীনগরের জামা মসজিদে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল মুত্তাহিদা মজলিস-ই-উলেমা। সেখানেই বিভিন্ন ধর্মগুরু ও ইসলামিক সংস্থার নেতা-প্রমুখদের সঙ্গে আলোচনা করেন মীরওয়াইজ ফারুক। মুসলিমদের পরিচয় রক্ষার্থে এবং তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে অটুট রাখতে স্কুল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভজন গাওয়ানো বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন- দশ বছরে প্রথমবার চাকা গড়াল মেট্রোর, প্রস্তুতির অভাবে বেহাল দশা মহড়া দৌড়ে
পাশাপাশি, কোনও পড়ুয়াকে যদি তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্মবিরোধী কোনও কাজ করতে বলা হয় তাহলে তাঁকে সেই স্কুল ত্যাগ করতে বলেন তাঁরা। অভিভাবকদের এই বিষয়ে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে এই ইসলামিক বডি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শুরুতে জম্মু কাশ্মীরের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের “রঘুপতি রাঘব রাজা রাম” ভজন গাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরেই কাশ্মীরে বিজেপি জোরপূর্বক হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তোপ দাগেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা। অন্যদিকে, হিন্দুরা যদি আজমের শরীফ দরগায় যেতে পারেন তাহলে মুসলিম পড়ুয়ারা কেন ভজন (Bhajan) গাইতে পারবেন না বলে পাল্টা আক্রমণ করেন ফারুক আবদুল্লা।