টিকার আকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য

0
81

নয়াদিল্লি:  ২৮ থেকে ৪৮ হয়ে এখন ৮৪! করোনা প্রতিষেধকের আকালের জেরেই কি ক্রমেই দুটি টিকার মধ্যে সময়সীমার দূরত্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্র? এতখানি ব্যবধানে টিকা নিলে তার কার্যক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সৌজন্যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া ঘোষণা৷ কারণ, বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে ৮৪ দিনের আগে কেউ দ্বিতীয় টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এরপরই এই প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ যদিও এবিষয়ে পাল্টা কোনও সদুত্তর মেলেনি স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে৷

আরও পড়ুন: মানুষে আর কুকুরে ফারাক কই, মদের দোকানে লাইন দেখে প্রশ্ন মদনের

- Advertisement -

একটু অতীতে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, করোনা প্রতিষেধকের দুটি ডোজের মধ্যে প্রথমে ব্যবধান রাখা হয়েছিল চার সপ্তাহ বা ২৮ দিন৷ পরে সেই সময়টা বাড়িয়ে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অর্থাৎ ৪৮ দিন করে কেন্দ্র৷ এবার বিবৃতি জারি করে সেই ব্যবধান নিয়ে যাওয়া হল একেবারে ৮৪ দিনে অর্থাৎ প্রায় ১২ সপ্তাহে৷ কেন? যদিও এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু কারণ দর্শানো হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দেশ জুড়ে টিকার আকাল দেওয়াতেই কি নিজের মুখ বাঁচাতে এই নয়া সিদ্ধান্ত৷

নয়া বিবৃতিকে কেন্দ্র করে জনমানসে তৈরি হয়েছে একাধিক ধোঁয়াশাও৷ কারণ, ইতিমধ্যেই প্রথম টিকা নেওয়ার পর ইতিমধ্যেই যাঁরা ‘কোউইন’ অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছে, তাঁরাও কি নির্ধারিত ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে টিকা পাবেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্থাৎ ৮৪ দিনের আগেই টিকা নিতে পারবেন৷ সেক্ষেত্রে সময়ের আগে বা পরে টিকা নেওয়ার বিষয়টি কতটা স্বাস্থ্য সম্মত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ কারণ, ইতিমধ্যে যাঁরা ২৮ বা ৪৮ দিনের মধ্যে টিকা নিয়ে নিয়েছেন কিংবা যাঁরা এবার থেকে ৮৪ দিনের ব্যবধানে টিকা নেবেন, দু’ তরফের ক্ষেত্রেই টিকার কার্যকারিতা এক থাকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ যদিও এবিষয়ে নীরব মোদী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ ফলে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে৷