আগামী বছরের পাঁচ অগাস্ট কী দেশ জুড়ে NRC, জারি নয়া জল্পনা

0
105

নয়াদিল্লি: মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ওই বছরের পাঁচ অগাস্ট একটা বড় সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। যা সমগ্র দেশের কাছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। পরের বছরেও এই দিনটি বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকছে। এরপর আগামী বছরে এই দিনটি নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন- ভারতের তপ্ত অধ্যায়, বাবরি মসজিদ ভাঙা থেকে রাম মন্দিরের ভিত স্থাপন

- Advertisement -

২০১৯ সালের পাঁচ অগাস্ট কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংবিধানের ৩৫এ ধারাটিও কাশ্মীরের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর ফলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। বন্ধ হয়ে যায় যাবতীয় অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা। একই সঙ্গে সমগ্র রাজ্যটি দু’ট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেই সুবাদে সমগ্র রাজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চলে আসে দিল্লির হাতে।

এরপরে ২০২০ সালের পাঁচ অগাস্ট অযধ্যায় হতে চলেছে রাম মন্দিরের শিলান্যাস। প্রায় নয় মাস আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের উপরে ভিত্তি করে গঠিত হয় রাম মন্দির ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্ট স্থির করেছে অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভিত পুজো।

আরও পড়ুন- মনানীয়ার কাছে রামচন্দ্র অ্যালার্জি হলেও ভারতীয়দের কাছে এনার্জি: জয়

কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাম মন্দিরের শিলান্যাস একই দিনে সম্পন্ন হয়েছে। এরপরে আগামী বছরের পাঁচ অগাস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ৩৭০ ধারা, রাম মন্দিরের মতো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জি বিজেপির এজেন্ডার মধ্যে ছিল। সেই অনুযায়ী আগামী বছরে দেশ জুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

গত ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এরপর থেকেই দেশ জুড়ে নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রস্তুত করার কথা শুরু হয়। এর পালটা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। যদিও করোনা আবহে তা এখন স্তিমিত। পাঁচ অগাস্ট রাম মন্দিরের শিলান্যাস হওয়া নিয়ে ফের জেগে উঠছে নয়া জল্পনা।

আরও পড়ুন- লকডাউনের গেরোয় মঙ্গলেই রামের পুজো হুগলীর বিজেপি নেতাকর্মীদের

আগামী বছরের পাঁচ অগাস্টেই চুড়ান্ত হবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সিদ্ধান্ত? বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তদের সুস্থতার হার বেড়ে গিয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে করোনা ভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সেই অবস্থায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সম্পন্ন করা যেতেই পারে। যদিও সমগ্র বিষয়টি এখনও জল্পনার পর্যায়েই রয়েছে। চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।