west bengal assembly election 2021 : শীতলকুচির অডিও ক্লিপ নিয়ে মুখ খুলল তৃণমূল

0
102

কলকাতা: বিজেপির প্রকাশ করা অডিও ক্লিপ নিয়ে আরও একবার বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের মতো এবারেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঘাস ফুল শিবির। বিজেপির প্রকাশিত অডিও ক্লিপ নিয়ে এবার মুখ খুলল তৃণমূল নেতৃত্ব। কণ্ঠস্বর বিকৃত বা ভুয়ো প্রচার নয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথনই প্রকাশ করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন:  west bengal assembly election 2021 : দুর্নীতি ঢাকতে বিশ্বভারতীকে হাতিয়ার করে তৃণমূল, দাবি অনির্বাণের

- Advertisement -

অডিও প্রকাশের পরে এদিন রাতের দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, “আগেও অনেকবার অভিযোগ উঠেছিল যে কেন্দ্র সরকার বিরোধী সাংসদ বা নেতানেত্রীদের ফোন ট্যাপ করে। সেই অভিযোগের কোনও সুরাহা হয়নি। এখন সেই বিষয়টি খুব স্পষ্ট হয়ে গেল যে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছিল।” অন্যথায় একজন দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথোপকথন কোন উপায়ে বিজেপির হাতে গেল? এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে চার তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারান। যা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ওই ঘটনার জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছিল তৃণমূল।

গুলি চালনার পরেই শীতলকুচির প্রার্থী পার্থপ্রতীম রায় ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। গুলি চালনার ঘটনার কথা জানার পরেই প্রার্থীকে নির্দেশ দেন, “আগে ভোট্টা কর মাথা ঠাণ্ডা করে। এর বিচার আমরা করব।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ডেড বডিগুলো এখন রেখে দাও। ডেড বডিগুলো নিয়ে র‍্যালি হবে। পরিবারগুলোকে বলে দাও,’কেও ডেড বডি নেবে না।’” এফআইআর করার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন যে এসপি এবং আইসি-কেও ফাঁসাতে হবে।

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণের আগের দিনেই চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ ফাঁস করল বিজেপি। শুক্রবার এক মিনিট ১৯ সেকেন্ডের সেই কথোপকথন ফাঁস করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী লাশের রাজনীতি করতে খুব ভালোবাসেন। উনি জীবিত মানুষদের নয় মৃত মানুষদের বেশি পছন্দ করেন। চার জনের প্রাণ গিয়েছে শোনার পরে ডেড বডি নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা করছেন। এই ধরণের ঘটনা থেকে বড় সাম্প্রদায়িক হিংসার সৃষ্টি করতে পারতো।