শুভেন্দুর ‘কারসাজি’তে মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন মুকুল

সাড়ে তিনদিনের দিল্লি সফরে মুকুল রায় সম্পর্কে শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে দিয়ে এসেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ যার জেরে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কড়া পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারে গেরুয়া শিবির৷ এবিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই নতুন আশ্রয় হিসেবে পুরনো ঘরে ফেরার বিষয়ে আর এক মুহূর্তও দেরি করতে চাননি তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্য৷

0
1357

সুমন বটব্যাল, কলকাতা: জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই৷ অবশেষে সেই জল্পনার অবসানও হতে চলেছে৷ সবকিছু ঠিক থাকলে জুম্মাবারের বিকেলে বিজেপি ছেড়ে পুরনো ঘরে ফিরতে চলেছেন মুকুল রায়৷ কিন্তু পুরনো ঘরে ফেরার জন্য ‘রায় সাহেবে’র হঠাৎ এত তাড়াহুড়ো কেন?

আরও পড়ুন:মুকুল পুত্রের ‘অরাজনৈতিক’ মমতা-বন্দনায় বাড়ছে জল্পনার পারদ

- Advertisement -

রায় সাহেবের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, সোম থেকে বৃহস্পতি, সাড়ে তিনদিনের দিল্লি সফরে মুকুল রায় সম্পর্কে শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে দিয়ে এসেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ যার জেরে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কড়া পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারে গেরুয়া শিবির৷ এবিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই নতুন আশ্রয় হিসেবে পুরনো ঘরে ফেরার বিষয়ে আর এক মুহূর্তও দেরি করতে চাননি তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্য৷

আরও পড়ুন: ছেলেকে তৃণমূলে পাঠিয়ে ঘরে-ফেরা নিশ্চিত করতে চাইছেন মুকুল রায়
সূত্রের খবর, প্রথমে কালীঘাট সেখানে থেকে তৃণমূল ভবনে হাজির হবেন সপুত্র মুকুল রায়৷ ইতিমধ্যে রায় সাহেবের সল্টলেকের বাড়িতে চলে এসেছে তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু৷ পিতা-পুত্র রওনা দেবেন এক সঙ্গে৷ তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির সঙ্গে বিজেপির আর কোনও নেতা, বিধায়ক আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, পুরনো দলে ফিরলেও এখনই নিজের পুরনো অবস্থান নাও ফিরে পেতে পারেব মুকুলবাবু৷ বরং দলের অন্দরেই তাঁকে শুনতে হতে পারে, নানা অস্বস্তিমূলক কটুক্তি৷ তা সত্ত্বেও পুরনো দলে ফেরার ঝুঁকি কেন নিলেন তিনি?

আরও পড়ুন: দলনেত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে মদন বোঝালেন মেজাজটাই আসল রাজা

সূত্রের খবর, এবারের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির অন্দরে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল৷ এবিষয়েই গত সাড়ে তিনদিনের দিল্লি সফরে বেশ কিছু তথ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন শুভেন্দু৷ যা মুকুল রায়ের পক্ষে বিশেষ স্বস্তিকর নয় বলেই ওই মহলের দাবি৷ সূত্রের খবর, রাজ্যে কড়া বার্তা দিতে খুব শীঘ্রই এবিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব৷

এবিষয়ে ‘সোর্স’ মারফয নিশ্চিত হওয়ার পরই লক্ষ্মীবারের সন্ধ্যায় নিজের পুত্র এবং ঘনিষ্ঠদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক৷ তারপরই ‘হট লাইনে’ যোগাযোগ করা হয় কালীঘাটে৷ সেখান থেকে ‘গ্রিন’ সিগন্যালের পরই বাংলার রাজনীতিকদের কার্যত চমকে দিয়ে রাতারাতি জার্সি বদলাতে চলেছেন মুকুল রায়৷ যদিও এবিষয়ে তিনি বা তাঁর পুত্র এখনও পর্যন্ত একটি শব্দও খরচ করতে রাজি হননি৷ তবে ঘটনার গতিপ্রকৃতি থেকে স্পষ্ট, প্রায় চার বছরের ব্যবধানে ফের তৃণমূলের হচ্ছেন মুকুল রায়৷