“নন্দীগ্রামেও আগেই নাম ঘোষণা হয়েছিল, ফলাফল সকলে দেখেছে” তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের

0
151

কলকাতা: ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। একে তো দলবদলের ধাক্কা সেই সঙ্গে ভবানীপুর উপনির্বাচনে এখনও প্রার্থী ঠিক করে উঠতে পারেনি বিজেপি। সব মিলিয়ে এখন রাজ্যে চাপেই রয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও অনেকটাই সময় পেরিয়েছে। এখনও কেন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি সেই প্রশ্নের মুখোমুখি বারবার হতে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিকে। এই কথারই উত্তর দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।

প্রতিদিনের মতই নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন দিলীপ ঘোষ। শরীরচর্চা সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সম্ভবনা রয়েছে ঘোষণা হয়ে যাবে যেকোনো সময়।” তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই উত্তরে নন্দীগ্রামের ফলাফল মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ওনারা তো দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে, কি হলো। সেখানেও আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। দুমাস আগে থেকে প্রার্থী দিয়েছিল রেজাল্ট তো দেখে নিয়েছে।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- ভোটযুদ্ধে নামার আগেই গণেশ চতুর্থীতে ওয়ার্ম আপ সেরে ফেলছেন মমতা

এমনকি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরেও তৃণমূলের ফল নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “লড়াই করেন দৌড়াদৌড়ি করেন, লোকসভাতেও আগে প্রার্থী দিয়েছিল তারপর ঝটকাটা কে খেলো। নির্বাচনটা তো মাঠে হয়।” মুখে এত কথা বললেও ভবানীপুর নিয়ে বেশ চাপেই রয়েছে গেরুয়া শিবির এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। এই কারণেই সেখানে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনেও গিয়েছে বিজেপি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আনা বিজেপির অভিযোগকে পাত্তাই দেয়নি কমিশন। তবে ভবানীপুর উপ নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির মমতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “স্বাভাবিক, ভবানীপুর উপ নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বতন্ত্র সংগঠন করেছে তার জন্য যেটা ব্যবস্থা আছে কোর্টে গিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক আছ্‌ কোর্ট বিচার করবে। সমস্ত দিক গুলো আলোচনা হবে।”

আরও পড়ুন- দ্রুত এগিয়ে চলছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ কর্মসূচি, মিলছে সাধারণের ব্যাপক সাড়া

বলা ভালো নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই ক্ষোভ উগড়েছেন ঘোষ বাবু। বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে রাখার।” তাই নিয়েই ফের একবার সরব হয়েছেন। বলেছেন, “দেশে আরও ৩১টা উপ নির্বাচন রয়েছে। এখন বলছে উপ নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবঙ্গে চারটি উপ নির্বাচন হচ্ছে না। সাধারণ নির্বাচন বাকি আছে সামসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর ওখানে অতটা করোনার প্রকোপ নেই। কলকাতা সব সময় সেন্সসেটিভ। যারা বিধানসভা নির্বাচনে চেঁচিয়ে ছিল যে লোককে মেরে ফেলেছে করোনার মধ্যে যারা কর্পোরেশন ইলেকশন করাচ্ছেন না পরিস্থিতি ঠিক নেই বলে তারাই চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী রাখার।”

আরও পড়ুন- আজ BRICS-এর ১৩ তম শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “গ্রাউন্ডেই নির্বাচন কমিশন বলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন নির্বাচন করাবার জন্য নাহলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান তাহলে কি সংকট তৈরি হবে না। তাই স্বাভাবিক ভাবে এই প্রশ্নগুলো মানুষ করবে। নির্বাচন কমিশন এই ডিসিশন নিলেন কেন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাউকে এমএলএ বা মুখ্যমন্ত্রী করা এটা তো নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়।”