করোনা ঝুঁকির জের: ন’দফায় ভোট করার পক্ষপাতি কমিশন

0
255
election commission

খাস খবর, কলকাতা: রাজনৈতিক হিংসার আশঙ্কা তো রয়েইছে, বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে করোনা ভাইরাস৷ ফলে এক ধাক্কায় শুধু বুথের সংখ্যাই বেড়ে যায়নি, বেড়েছে স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যাও৷ তারই জেরে বাংলায় সাত থেকে ন’দফায় ভোট করার পক্ষপাতি কমিশন৷

কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘হিংসা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ভোট করালেই হবে না, এবারে বাড়তি নজর দিতে হচ্ছে করোনা ভাইরাসের দিকেও৷ ফলে দুটি ক্ষেত্র সমান গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে গিয়ে বুথের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার বেড়ে গিয়েছে৷ তাই সব দিক সামলে নির্বিঘ্নে ভোট করতে হলে কমপক্ষে ন’দফায় ভোট করাতেই হবে৷’’

- Advertisement -

এবারে পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে৷ ফলে তার আগেই ভোট পর্ব মেটাতে চায় কমিশন। সেই কারণেই মার্চে নয়, ফেব্রুয়ারির শেষে ভোট ঘোষণার পথে হাঁটতে চাইছে কমিশন৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, শুক্রবার বিকেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিতে পারে কমিশন৷ ইতিমধ্যে টুইট করে কমিশনের তরফে এই তথ্য সামনেও আনা হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, একুশে পশ্চিনবঙ্গের পাশাপাশি আরও তিন রাজ্য তামিলনাডু, অসম, কেরল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পন্ডিচেরিতে ভোট হতে চলেছে৷ স্রেফ করোনার কারনেই বাংলার বুথের সংখ্যা ৭৬ হাজার থেকে লাখে পৌঁছে গিয়েছে৷ তার ওপর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিচারে বাংলায় অবাধে নির্বাচন করাটাও কমিশনের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে৷ স্বভাবতই, আট থেকে ন’দফা ভোটের পক্ষপাতি কমিশন৷ তবে বাকি তিনটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত পন্ডিচেরিতে যেহেতু বুথ সংখ্যা কম, তাই সেখানে কম দফায় ভোট হওয়ার সম্ভবনা থাকছেই৷

ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা ও করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বুধবার চার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের কোথায় কোথায় করোনা প্রকোপ এখনও বেশি, কন্টেনমেন্ট জোনগুলির পরিস্থিতি কেমন, কোন কোন এলাকা রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর সবই চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সেই মতো রাজ্যের বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও আলোচনা করেছেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা৷

তারপরই বৃহস্পতিবার রাজ্যের জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সেখানে হিংসা বরদাস্ত না করার কড়া বার্তা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ভোটের হিংসা থামাতে এবারে নজিরবিহীনভাবে ভোটের আগেই রাজ্যে চলে এসেছে বেশ কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কমিশন সূত্রের খবর, রবিবারের মধ্যে বাংলায় প্রায় ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী পৌঁছে যাবে৷ বাকি ৮৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীও ঢুকে যাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই৷

স্বভাবতই, উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির৷ অন্যদিকে উলোট পুরাণ শাসক শিবিরে৷ রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘শান্তিতে ভোট হোক-আমাদের এটাই দাবি৷ কত দফায় ভোট হবে সেটা কমিশনের বিষয়৷’’ অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রের শাসকদলের হয়ে ভোট করবে না, আমরা এটাই আশা করব৷’’