বঞ্চনার প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসে বাটি হাতে রাস্তায় মাস্টারমশাইয়েরা

0
92

খাস খবর ডেস্ক: রবিবার ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন। সারা দেশ ব্যাপী এই দিনটি পালিত হয় শিক্ষক দিবস হিসাবে। যেখানে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় শিক্ষকদের সম্মানিত করার জন্য পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস সেখানে হাওড়ায় দেখা গেল এক অন্য চিত্র। এদিনেই সরকারি স্কুলের কয়েকজন আস্থায়ী শিক্ষক বাটি হাতে নেমে পড়েন ভিক্ষা করতে।

আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: শাসকের চাপ বাড়িয়ে এক হপ্তায় দু’বার অকুস্থলে সিবিআই

- Advertisement -

এদিন, হাওড়া স্টেশন এলাকার কলকাতাগামী বাসস্ট্যান্ডের সামনে ৬ নম্বর সাবওয়ের গেটে এন এস কিউ এফ শিক্ষকরা হাতে থালা বাটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে থাকা এই কারগরি শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ হলেও বেসরকারি সংস্থার অধীনে কাজ করেন। তাঁদের মাসিক বেতন অত্যন্ত কম এবং অনিয়মিত। নিয়োগকারী বেসরকারি সংস্থা তাঁদের উপর মানসিক অত্যাচার চালায় এবং যখন তখন তাঁদের চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ সাড়া মিলছে ‘আমার পাঠশালা’য়, শিক্ষক-দিবসে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ বামেদের

গোটা রাজ্যে তাঁদের মতন প্রায় ১৫০০ এন এস কিউ এফ শিক্ষক আছেন এবং প্রায় ২০০ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আছেন। কিন্তু তাঁদের চাকরিতে কোনও নিরাপত্তা নেই। তাদের কাছে বিকল্প হিসাবে অন্য কোনও কাজ জানা না থাকায় ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু উপায়ও নেই। তাই সব শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোর জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন। হাতে ভিক্ষার বাটি থাকলেও এইসব শিক্ষকদের মুখের বুলি ছিল, ‘দিদি আমাদের বাঁচান। আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বেতন নেই।’

এদিনের এই ঘটনায় একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে। শিক্ষক দিবসের বাটি হাতে ভিক্ষা করলে কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ? তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন তাঁরা সম্পূর্ণ বেতন পাচ্ছেন না বলেই এদিন তাঁরা বাটি হাতে বাসস্ট্যান্ডে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তা এক কথায় শিক্ষকদের জন্য লজ্জা, জাতির জন্য লজ্জা।