ভারত বনাম পাকিস্তান: টিভি ভাঙবে নাকি পটকা ফাটবে

0
69

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: বিষয়টা কার্যত অরাজনৈতিক। তবু প্রবলভাবে রাজনৈতিক। হবেই তো। দলদুটি’র নাম যে ভারত এবং পাকিস্তান। রণভূমি হোক কিংবা ২২ গজ— দুই দেশ মুখোমুখি হলেই রাজনীতি অনিবার্য। কারণ, মানুষের আবেগ-ও যে অনিবার্য।

আরও পড়ুন: পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার ৬ বছর ধরে জয় অধরা এশিয়া কাপে

- Advertisement -

ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলে উছলে পড়ে এই আবেগ। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচ শেষে দুটি ঘটনার যে কোনও একটি ঘটতে দেখা যায়। হয় টিভি ভাঙবে নয়ত পটকা ফাটবে। মূলতঃ পাকিস্তানের জয়-পরাজয়ের ওপরই এই বিষয়টি নির্ভর করে।

চিরশত্রুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান হারলেই পাক সমর্থকদের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে যে টেলিভিশন সেটে তারা খেলা দেখেছে, তার ওপর। ভারত-পাক দ্বৈরথের আদিকাল থেকেই এই ধারা অব্যাহত। আজ পর্যন্ত ওয়াঘার ওপারে যে কত টিভি ভাঙা হয়েছে, তার হিসেব নেই। আর এ নিয়ে বিদ্রূপের অন্ত নেই ওয়াঘার এপারে। কারণ টিম ইন্ডিয়া ম্যাচ হারলে টিভি ভাঙার রেওয়াজ নেই। এখানে অন্য ব্যবস্থা।

এখানে একদল জনতা রয়েছেন, বোঝার উপায় নেই, এঁরা আসলে কোন দলের। ভারত জিতলেও এঁরা ভারতীয় সমর্থকদের সঙ্গে মিলে উদযাপন করেন। আর পাকিস্তান জিতলে তো কথাই নেই! তখন রাস্তায় নেমে পটকা পর্যন্ত ফাটাতে কসুর করেন না। এঁদের কার্যত কোন পক্ষে রাখা যায়? নাঃ এঁরা ভারতীয়-ও নন, পাকিস্তানি-ও নন। এঁরা আসলে সুবিধাবাদী। যখন যেমন তখন তেমন। যেখানে যেমন সেখানে তেমন।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

সুতরাং, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে যে কোনও একটি ঘটনা দেখা যাবেই। হয় ওয়াঘার ওপারে টিভি নিধন যজ্ঞ শুরু হবে। নয়ত এপারে কিছু সুবিধাবাদী পটকা ফুটিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়বে, আর কিছু স্বার্থান্বেষী নির্লজ্জের মত তা সমর্থন করবে। আসলে ওই যে, ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ বলে কথা! অরাজনৈতিক হয়েও সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক।