ভারতকে ট্রফি জেতাতে হলে নয়া ফরম্যাট চালু করতে হবে আইসিসিকে

0
57

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ৮ বছরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। এই মোট ৭ বার। নকআউট মানেই এ মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়ার কাছে অভিশাপের নামান্তর। একটা সময় মনে করা হত, নকআউটে হয়ত নিউজিল্যান্ড সামনে পড়লেই জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে যায় ভারতের। আসলে তা নয়। বরং নকআউট এলেই সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায় রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।

আরও পড়ুন: ধোনিই পেরেছিলেন, হারের সব দায় নিতে অস্বীকার রোহিতের

- Advertisement -

পরিসংখ্যান বলছে গত ৮ বছরে যে ৭টি ডু অর ডাই নকআউট ভারত হেরেছে, তার মধ্যে মাত্র দুটি খেলাতেই কিউইরা প্রতিপক্ষ ছিল। যথা ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল এবং ২০২১ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। এছাড়া বাকি ৫ নকআউটে ৫টি আলাদা আলাদা দলের মুখোমুখি হতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল), অস্ট্রেলিয়া (২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল), পাকিস্তান (২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল) এবং ইংল্যান্ড (২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল)। অর্থাৎ কোনও নির্দিষ্ট বিপক্ষ দল নয়, নকআউট মানেই নেমেসিস মেন ইন ব্লু’র।

তাহলে উপায়? একটাই উপায়। আর সে বিষয়ে যা করার আইসিসিকে-ই করতে হবে। তা হল, আইসিসিকে নয়া ফরম্যাট চালু করতে হবে। নাঃ নাঃ নয়া ফরম্যাট অর্থে এক্ষেত্রে টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি আরও কম বা বেশি ওভারের কোনও ক্রিকেট নয়। এক্ষেত্রে ফরম্যাট অর্থে প্রতিযোগিতার ফরম্যাট।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

এখন বিশ্বকাপ কী প্যাটার্নে হয়? প্রথমে গ্রুপ লিগ, তারপর নকআউট রাউন্ড। বদল আনতে হবে এখানেই। নকআউট রাখাই চলবে না। শুধু লিগ ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ করতে হবে। একসময় নকআউটের চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্কে এ ধরণের কথা হত। যদি নকআউটের বদলে শুধু লিগ ফর্ম্যাটেই বিশ্বকাপটা আয়োজিত হত, তাহলে কবেই বিশ্বকাপটা পেয়ে যেত ওরা। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ টিম ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। গ্রুপ লিগে সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তারা। কিন্তু নকআউট এলেই অন্য কাউকে ধরতে বা ছুঁতে পারে না। কাজেই, যদি ভবিষ্যতে শুধুমাত্র লিগ ফরম্যাটে বিশ্বকাপটা আয়োজন করা যায়, তাহলে হয়ত আবারও বিশ্বসেরা হবে ১৩০ কোটির দেশ।