জার্মানিতে ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

0
26

খাসখবর ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের ধীরে ধীরে জার্মানিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ডেল্টা ছড়িয়ে পড়ার ফলে বেশ অনেকটাই দুশ্চিন্তায় আছেন চিকিৎসকরা। দেশের প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষের শরীরে এই ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি করেছেন, দেশে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা গিয়েছে। বুধবার একটি টুইটের মাধ্যমে এ কথা দাবি করেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান। টুইটে তিনি লেখেন, দেশে চার কোটি ১৮ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন।

- Advertisement -

একদিকে, প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রায় ৪৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন৷ তবে দেশের সরকার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার উপর জোর দিয়েছেন৷ তবে অনেকেরই মধ্যে টিকা না নেওয়া প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে বিদেশ ভ্রমণ পর্যটকদের বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এছাড়াও মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও বারবার সতর্ক করে আসছে প্রশাসন।

অন্যদিকে, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে জার্মানি। আসন্ন মাসের শুরুতেই সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণেই করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, দেশের টিকাদানের গতি অনেকটাই বেড়েছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকাদানের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে আর বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ তার মতে, টিকাদান এর গতি বৃদ্ধি দেশের সংক্রমণের হার কমতে থাকায় বিধি-নিষেধের প্রয়োজন নেই। আগামী মাসে পরিস্থিতি এমন থাকলে বিধি নিষেধ তুলে দেওয়া উপযুক্ত হতে পারে৷ যদিও গত জানুয়ারি মাসেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাস এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷

তবে এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ তার মতে, করোনা টিকার গতির উপরে এমন পদক্ষেপ নির্ভর করবে না কখনোই৷ আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে দেশের মানুষকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে শীঘ্রই প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।