নয়া সংঘাতের পথে রাজ্যের দুই প্রশাসনিক প্রধান

0
78

কলকাতা: এবার রাজ্যপালের ‘সৌজন্যবোধ’ নিয়েই প্রশ্ন তুলল শাসক তৃণমূল শিবির৷ সৌজন্যে, সোমবার মধ্যরাতে রাজ্যপালের করা একটি টুইট৷ তৃণমূল শিবিরের দাবি, রাজ্যপাল যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বার্তা জনসমক্ষে এনেছেন তারপরে আর যাই হোক তাঁর সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক এবং সংবিধান সম্মত’ ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্কই যেন না রাখা হয়।

আরও পড়ুন: মোদি সরকারের চাকরি ছাড়লেন মমতা ঘনিষ্ঠ আলাপন

- Advertisement -

বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘উনি (রাজ্যপাল) ন্যূনতম শিষ্টাচার, সৌজন্যতাও যদি জানতেন তাহলে এভাবে ব্যক্তিগত বার্তা প্রকাশ্যে আনতেন না৷ এটা ঠিক নয়৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এরপর আর ওঁনার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত নয়৷’’ দলীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ যার জেরে আগামীদিনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বনাম রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সংঘাতের নয়া রূপ সামনে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

আরও পড়ুন: চিঠির গোড়াতেই জল ঢেলে আইনের ‘বিচার’ চাইতে পারেন অকুতোভয় আমলা

ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার মধ্যরাতে রাজ্যপালের একটি টুইট৷ যাতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর বয়কট করার বিষয়টি পূর্ব-পরিকল্পিত৷ টু‌ইটে রাজ্যপালের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলে তিনি যে হাজির থাকবেন না, বৃহস্পতিবার রাতেই মমতা তাঁকে সেকথা জানিয়েছিলেন৷ ব্যক্তিগত বার্তা সামনে আনার পাশাপাশি টুইটের ‌শেষ লাইনে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘অহং জিতল, হেরে গেল নাগরিক পরিষেবা’।

তৃণমূল শিবিরের দাবি, এভাবে ব্যক্তিগত বার্তা সামনে আনা কখনও সৌজন্যতা বোধের পরিচায়ক নয়৷ ওঁনার এই আচরণ কখনও-ই রাজ্যপাল সুলভ নয়৷ কারণ, ওই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার জেরে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তারপরই যেভাবে দিল্লিকে বদলির চিঠি ধরানো হয় তা নিয়ে সবমহলই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে৷ শেষ পর্যন্ত চাকরি থেকে আলাপনবাবুর অবসর গ্রহণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ঘোষণার পরই যেভাবে রাজ্যপাল টুইট করেছেন তাতেও ব্যাঙ্গই দেখছেন শাসকদলের নেতারা৷

প্রসঙ্গত, রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ এই প্রথম নয়৷ অতীতেও দেখা গিয়েছে৷ তবে অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে বর্তমান রাজ্যপালের সময়ের ঘটনা৷ এক্ষেত্রে কোনও কোনও মহল অবশ্য দুষছেন রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তাকেই৷ এখন দেখার, রাজ্যের দুই প্রশাসনিক প্রধানের সংঘাতের জল, কোন দিকে কতখানি গড়ায়৷ আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে সবমহল৷