দলবদলু বাবুলের মাথাতেই উঠল বালিগঞ্জের জয়ের মুকুট

0
33

কলকাতা: সকাল আটটা থেকেই শুরু হয়েছিল উত্তেজনা। বালিগঞ্জ ও আসানসোলে উপনির্বাচনে জয়ের মুকুট কার মাথায় উঠবে সেই দিকেই নজর ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের। কারণ দুই কেন্দ্রের প্রার্থীই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর নির্বাচনে লড়াই করেছেন। প্রাক্তন বিজেপি তথা বর্তমান তৃণমূলের নেতারা কি শাসক দলের হয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন? এই উত্তরের অপেক্ষাতেই সকলে প্রহর গুনছিল। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। তৃণমূলের প্রত্যশা মতই বালিগঞ্জে জয়ী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।

গত ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন হয়েছিল বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনেই লড়াই করেছেন আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। গণনার শুরু থেকেই দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বালিগঞ্জে ভোটে বিরোধীদের পরাজিত করে জয়ের মুকুট নিজের মাথাতেই তুলে নিয়েছেন বাবুল। ২০ হাজার ৫৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। জয়ের খবর পেতেই বাবুল বলেছেন, “এই জয় মা মাটি মানুষের জয়।” এই জয়ের জন্য তৃণমূল নেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের সমস্ত কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবুল। অন্যদিকে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি নয় বরং দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে বামেরা। শুরু থেকেই লড়াই চলেছে তৃণমূলের সঙ্গে বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের। জয়ী না হলেও বালিগঞ্জ নিজেদের ছাপ ফেলেছে সিপিআইএম।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- রাখলেন কথা, রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, বালিগঞ্জে জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাবুল। পঞ্চম রাউন্ড শেষে এদিন বালিগঞ্জ গণনা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই বাবুল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, ‘‘টালিগঞ্জে হারব জেনেও দলের নির্দেশে (বিজেপি) লড়েছিলাম।’’ দাবি করেছেন, ‘‘আমি ওয়াফাদার সৈনিক। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ।’’ প্রসঙ্গত, গত বছরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। বলেছিলেন তিনি তৃণমূল তাঁকে প্লেয়িং-১১-এ খেলার সুযোগ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসাবে ক্ষোভ উগড়ে বলেছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্ত সুযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তাঁকে দেওয়ার কারণেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে এবার তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে বিধায়ক হওয়ার পর মমতার মন্ত্রীসভায় কোনও পদ পান কিনা সেই নিয়েই আপাতত নতুন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।