বাঁধের সংস্কার হবে কি করে, ভোট ব্যাঙ্ক তৈরির রাজনীতিতে ব্যস্ত শাসক দল, খোঁচা শুভেন্দুর

0
33

কলকাতা: ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের জেরে আচমকা তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির জন্য সাত সকালেই কেন্দ্রকে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দুপুর গড়াতেই পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এল গেরুয়া শিবির থেকে৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘বাঁধের সংস্কার হবে কি করে! কোথায় খরচ করলে ভোট ব্যাঙ্কটাকে বাড়ানো যায়, এটাই তো এই সরকারের এজেন্ডা।’’

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে হেঁশেলে ফের আগুন, সিলিন্ডার পিছু ৪৩ টাকা দাম বাড়ল গ্যাসের

- Advertisement -

সকালেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, এটা ম্যানমেড বন্যা৷ ডিভিসি না জানিয়ে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই দুর্ভোগ৷ পাল্টা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু, ‘‘ডিভিসি এককভাবে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় না। সরকারের তরফে সেচ দফতরের সচিব এবং পশ্চিমাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়র থাকেন কমিটিতে। তাঁদের মতামত নিয়েই জল ছাড়া হয়। আসলে এই রাজ্য সরকার স্থায়ী পরিকাঠামোতে বিশ্বাসী না৷ তাই বাংলায় এই বিপর্যয়।’’

আরও পড়ুন: মমতার আদলে দুর্গা, মায়ের চক্ষুদান করে মদন বললেন ‘ও লাভলি’

অভিযোগ করেছেন, ‘‘শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক তৈরির রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল৷ তারই ফলে উন্নয়নের খাতে বাজেট বরাদ্দ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তারই জেরে বারংবার দক্ষিণবঙ্গ বারবার বন্যার কবলে পড়েছে। আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷’

আরও পড়ুন: পালং শাক ২০০, কাঁচা লঙ্কা-১০০ : দু’দিনের বৃষ্টিতে আগুন ছুটছে সবজি বাজারে

বছর বছর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অসময়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির জন্য কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ‘‘উন্নয়নের একটা টাকাও দেয় না৷ উল্টে আটকে রাখে৷ কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনতে ওদের চেয়ে ভাল কেউ পারে না৷’’ যার জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সেচ দফতরের আমি ১১ মাস দায়িত্বে ছিলাম। যার মধ্যে ৮ মাস লকডাউন ছিল। কোনও প্রকল্পে টাকা খরচ করতে পারিনি। আমি ছাড়ার পর ভোট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী দায়িত্বে ছিলেন। কি কাজ করেছেন, তাঁর শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন৷ তাহলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷” অর্থাৎ, ঘুরিয়ে সরাসরি মমতার সরকারকেই বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন বিরোধী নেতা।

প্রসঙ্গত, নিম্নচাপ জনিত টানা বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার থেকে দেড় লাখ কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ তারই জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ তারই জেরে বাদানুবাদে জড়িয়েছে রাজ্যের যুযুধান দুই পক্ষের প্রধান৷