চারদিন পরেও সীমান্তে BSF-এর রাইফেল নিখোঁজের ঘটনায় উঠছে নিরাপত্তার প্রশ্ন

0
241

নিজস্ব সংবাদদাতা, বসিরহাট: দুদিনের সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ BSF-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি বলেছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সমর্থন ছাড়া অনুপ্রবেশকারীরা এদেশে ঢুকতে পারে না৷ সেই সঙ্গে তিনি বিএসএফ-দের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তাঁরা দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করে৷ তাঁদের এই বীরত্বের কাহিনী বাংলার গর্ব৷

তাঁর সফরের শেষেই BSF-এর ইন্সাস রাইফেল ও গুলি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে৷ সেই ঘটনার ৯৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও সেই রাইফেল ও গুলির হদিশ পাওয়া গেল না৷ বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরপাড়ায় ১৫৩ নম্বর মহিলা ব্যাটালিয়নের বিএসএফ কনস্টেবলের ১০ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোর রাতে একদল দুষ্কৃতী তাকে মারধর করার পাশাপাশি বেঁধে রেখে ইন্সাস রাইফেল কুড়ি রাউন্ড গুলি নিয়ে চম্পট দেয় বাংলাদেশে৷

- Advertisement -

এরপরে একদিকে যেমন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে BSF আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করলে এখনও অধরা আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি। ইতিমধ্যে বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ দালাল সহ ১২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে।

সীমান্তের উত্তরপাড়া দেবাশিস সরকার নামে এক দালাল তার বাড়িতে বাংলাদেশিদের আশ্রয় দিয়েছিল৷ সেই অভিযোগে তিনি এখন জেল হেফাজতে। লিং ম‍্যান দেবাশীষ সরকারের বাড়ির সবাই পলাতক। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন দেবাশীষ খুব ভালো ছেলে কি করে কাজের সঙ্গে যুক্ত হলো বলতে পারছে না৷ বিএসএফ সব সময় পাহারায় থাকে তা সত্বেও এই ধরণের ঘটনায় সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল।

রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছিলেন, সীমান্তে BSF নিরাপত্তা দেয়৷ দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করে। পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে বিএসএফের আধিকারিকরা জড়িত। সম্প্রতিকালে দিল্লি থেকে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে। তার উদাহরণ টেনে তিনি একথা বলেছিলেন৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেো হারিয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী। রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন৷