মুছে যাওয়া দিনগুলি এভাবে পিছু ডাকবে ভাবেননি দিলীপ ঘোষও

0
221

কলকাতা: প্রায় দেড় বছরের ব্যবধান৷ সেকথা তিনি ভুলে গিয়েছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ কিন্তু জনতা জনার্দন যে এত সহজে কোনওকিছুই ভোলেন না, বরং চাতকপাখির মতো সঠিক সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন, তা ফের প্রমাণিত হল৷

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক কেন এড়িয়ে গেলেন মমতা, শুভেন্দুর খাসতালুকে ফাঁস করলেন দিলীপ

- Advertisement -

সৌজন্যে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অরাজনৈতিক একটি পোস্ট! মঙ্গলবার ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দিলীপবাবু লিখেছিলেন, ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হোক লক্ষ্য’।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে হারের কথা মনে করিয়ে সংঘাতের ইঙ্গিত শুভেন্দুর

সেই লক্ষ্য পূরণে কে কতখানি উদ্যোগ নিয়েছেন জানা যায়নি৷ তবে গত তিনদিনে দিলীপবাবুর ওই পোস্টকে ঘিরে তাঁর ওয়ালের কমেন্ট বক্সে রীতিমতো সাইক্লোনের ঝোড়ো হাওয়া বইছে৷ দু’বছর আগে প্রাক করোনার নভেম্বরে দিলীপবাবু দাবি করেছিলেন, ‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে৷ তাই দুধের রং হলুদ হয়!’’

আরও পড়ুন: বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের মামলা

যা শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছিল বিজ্ঞানীদের৷ বলে কি! এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ঘরে-বাইরে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েও নিত্য নতুন যুক্তি খাড়া করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে৷ প্রসঙ্গত, গরু নিয়ে সেই প্রথম বিতর্কিত মন্তব্য, তেমনটা নয়৷ এর আগেও দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে, ‘‘স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গো মুত্র পান করি৷’’

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে দিলীপবাবুর পোস্টকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কমেন্টের বন্যা বইছে তাঁর ফেসবুক ওয়ালে৷ অধিকাংশই কটাক্ষের৷ যেখানে কেউ তাঁকে ‘বিখ্যাত গো বিজ্ঞানী’ আখ্যা দিয়েছেন৷ কেউ বা জানতে চেয়েছেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি দুধ পৌঁছানোর কথা ছেড়ে এত দিনে গরুর দুধ থেকে কত সোনা বার করলেন বলুন?’’ কেউ বা কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিলুদা হবেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী’!

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, সময়ের নিয়মে চাপা পড়ে যাওয়া সেই ‘খবর’ শিরোণামে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং দিলীপবাবু নিজেই৷ স্বভাবতই মুছে যাওয়া দিনগুলি ফের তাঁকে পিছু ডাকছে৷ সত্যি পিছু ডাকছে কি? নাহ্, পাওয়া যায়নি তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া৷