পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে আরও ১১ পুলিশ পর্যবেক্ষক

পঞ্চম দফায় ৬৬ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক

0
171

কলকাতা: পঞ্চম দফার (fifth phase)নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসছেন আরও ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক(police observer)।সব মিলিয়ে ৬৬ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন।কারন শীতলকুচির পুনরাবৃত্তি চায় না কমিশন৷

সূত্রের খবর,এই মূহূর্তে রাজ্যে রয়েছেন ৫৫ জন পুলিশ অবজার্ভার।পাশাপাশি ৩৩ জন জেনারেল অবজার্ভার, ১৬ জন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার৷ এক জন পুলিশ পর্যবেক্ষকের আওতায় থাকে ৩ থেকে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্র।এবার পুলিশ পর্যবেক্ষক বাড়ায় বাকি দফায় বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা কমবে৷ তাতে পুলিশ পর্যবেক্ষকের নজরদারি করতে সুবিধে হবে৷

- Advertisement -

আরও পড়ুন:শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিল কমিশন

বাংলায় রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক (আয় ব্যায়) বি মুরলী কুমার।

প্রসঙ্গত, অজয় নায়েক ও অনিল কুমার শর্মা দু’জনেই অতীতে এরাজ্যের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন করে গিয়েছেন৷ স্বভাবতই বাংলার রাজনৈতিক চরিত্র তাঁদের কাছে অজানা নয়৷

আরও পড়ুন:নববর্ষে রাজ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার

এদিকে ভোটারদের সঙ্গেও সরাসরি কথা বলছেন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা৷ রীতিমতো বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে ফোন নম্বর দিয়ে কমিশনের তরফে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি৷ শুধু সদর অফিসে নয়, জেলায় জেলায়ও স্পর্শকাতর বুথগুলিতেও হানা দিচ্ছেন কমিশনের সদস্যরা৷ নির্বাচন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভয় ভীতি দূর করার জন্য কথা বলছেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও৷ শুনছেন রাজনৈতিক দলগুলির অভাব অভিযোগও৷

গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের সময় কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে৷ বুথের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন তাঁরা৷ ঘটনায় মোট ৮ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন৷ মৃত্যু হয় চারজনের৷ ওই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি ছিল, পরিকল্পিতভাবেই গুলি চালানো হয়েছে অমিত শাহের নির্দেশে৷

শীতলকুচি পুনরাবৃত্তি যেন না হয়,তার জন্য পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে আরও ১১ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷