খাসখবর ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে নিহতদের সংখ্যা। মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গণভবনে সফররত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির (Volkan Bozkir) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মায়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের জায়গা দিয়েছি। কিন্তু তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনায় ছিলাম। যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু মায়ানমারের এই পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।”
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪০, আক্রান্ত ১৬৭৫
রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের বিষয়ে শেখ হাসিনা ভলকানকে জানান, ভাষানচর দ্বীপে এক লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ১৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস হতে দেশের জনগণ এবং অর্থনীতিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।” এপ্রসঙ্গে করোনা ভাইরাস হতে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রণোদনা প্যাকেজ ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য অন্যান্য অর্থ সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
