যুদ্ধবিরতির অবসান, ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে মৃত্যু যুবকের

0
67
প্রতীকী ছবি

খাসখবর ডেস্ক: বেশ কিছুদিনের যুদ্ধ বিরতির পর ফের শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। প্যাসেন্টাইন-ইসরায়েল সংঘর্ষ কোনও ভাবেই থামছে না। ফের এক প্যালেস্টাইন যুবকের মৃত্যু হল সেনাবাহিনীর গুলিতে।

জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে আগ্রাসন ও অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল ওই যুবক। আচমকা শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও প্যালেস্টাইনদের সংঘর্ষে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ।

- Advertisement -

প্যালেস্টাইন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পশ্চিমতীরের বেইতায় শুক্রবার শত শত প্যালেস্টাইনরা বিক্ষোভে অংশ নেন। সেই বিক্ষোভের জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। মৃত যুবকের নাম ১৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুনির আল তামিমি। ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

একদিকে, গত ২১ মে টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। ওই সংঘাতে প্রায় ৩২০ প্যালেস্টাইন নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। অপরদিকে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলে রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশজুড়ে আগ্রাসন ও অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে শত শত প্যালেস্টাইন বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এই বিক্ষোভ সমাবেশেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষের জেরে আহত হন ১৪৬ জন।

যদিও প্যালেস্তাইনদের এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। এপ্রসঙ্গে ইসরায়েল বাহিনী জানায়, নাবলুসের দক্ষিণে জিভাত এভিয়েতার চেকপোস্টের কাছে কয়েক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্যালেস্টাইনরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় আহত দুই সেনা সদস্যকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ক্ষমতায় আসার পর বসতি স্থাপনকারীরা ওই এলাকা ছেড়ে যায়। এরপর থেকে দেশটির সেনা সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করে রাখে ওই এলাকা। ১৯৬৭ সালের পর থেকে পশ্চিমতীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। বর্তমানে সেখানে চার লক্ষ ৭৫ হাজার ইহুদির বসবাস।