দেনার দায়ে আত্মঘাতী যুবক

0
127

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: দেনার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুকে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম ৩০ বছর বয়সী গোপাল বর্মন। সে তমলুক থানার কাঁকটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে বাড়ি সংলগ্ন খালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

- Advertisement -

সূত্রের খবর, গত মাস ছয়ের আগে গ্রাম কমিটি থেকে মাছ চাষ করার জন্য খাল চুক্তিবদ্ধ ভাবে নিয়ে ছিল গোপালবাবু। যার জন্য গ্রাম কমিটির সঙ্গে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময় চুক্তিবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত হয়। যে টাকার জন্য গোপাল গ্রামের বেশ কয়েকজনের কাছ চড়া সুদে টাকা ধারদেনা করেছিল।

তারপর চুক্তিবদ্ধ জন্য সে গ্রাম কমিটিকে ১০ লক্ষ টাকা মিটিয়েও দিয়েছিল। বাকি ছিল দেড় লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, চুক্তিবদ্ধ ভাবে নেওয়া খালে সেভাবে জোয়ারের জল প্রবেশ না করার ফলে ঠিকমতো ভাবে মাছ চাষ হচ্ছিল না বলে পরিবারের দাবি। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন গোপালবাবু। মাছ সেভাবে বিক্রি হয়নি। এদিকে টাকার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল গ্রাম কমিটি থেকে শুরু করে সুদ কারবারিরা।

গত কয়েকদিন আগে গ্রাম কমিটিকে নিয়ে একটি সালিশি সভাও বসায় বলে অভিযোগ গোপালবাবুর পরিবারের। সেখানে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় গোপালবাবুকে। যার ফলে যুবকের আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামের একটি খালের ধারে থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামের মানুষজন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

মৃত যুবকের ভাই প্রশান্ত বর্মণ বললেন, “সাড়ে এগারো লক্ষ টাকার বিনিময়ে দাদা একটি খাল মাছ চাষের জন্য লিজে নিয়েছিল। তবে মাছের বিক্রি-বাট্টা সেভাবে হয়নি এ বছর। এদিকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল গ্রাম কমিটি। সেই চিন্তায় আত্মহত্যা করেছে দাদা”।

এই বিষয় তমলুক থানার ওসি জলেশ্বর তেওয়ারি জানালেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনো পর্ষন্ত কোন পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। গ্রাম কমিটি পক্ষে কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।