ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল মহিলার দেহ, আদিবাসী গ্রামে জোর চাঞ্চল্য

0
292

খাস খবর ডেস্ক: ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলা। এক আদিবাসী মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তেহট্ট থানার নফরচন্দ্র পুর এলাকায়। ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দেখা হল না উদ্বোধনের মুখ, তার আগেই জলের তোড়ে ভেসে গেল সেতু

- Advertisement -

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে গ্রামেরই এক মাঠের গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূর দেহ। গ্রামের এক চাষি জমিতে কাজে যাওয়ার সময় ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। চিনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় গ্রামের লোকদের। এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা লাঠিসোটা হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় ডেবরা থানার পুলিশ। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে দুবাই থাকে। গ্রামে দুই ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি গ্রামের একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন, ঠিক সেই সময় কেউ একজন তাঁকে ফোন করে মাঠের দিকে ডাকে। যাওয়ার সময় তিন চারজন জোর জবরদস্তি ধরে নিয়ে যায় ওই গৃহবধূকে। তারপরেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

মৃতার ছেলে মহিন্দ্র সদ্দার বলেন, “আমার মা পাশের বাড়ি বসে গল্প করছিল। সেই সময় মাকে ফোন করে ডাকা হয়। গ্রামের একজন দেখেছে মাকে তিন-চার জন ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি জানতে পেরে, গ্রামের লোকজনদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু পাইনি। আজ সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামের একজন আমাদের খবর দেয়। গ্রামেরই বাসিন্দা সৌমজিত নামে একজনের উপর সন্দেহ আছে। ও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব, যাতে পুলিশ দোষীদের খুঁজে শাস্তি দেয়।”

এই প্রসঙ্গে মৃতার বোন কমলা সর্দার বলেন, “আমি পাশের গ্রামে থাকি। বোনের বড় দুবাইতে কাজ করে। বোন দুই ছেলেকে নিয়ে থাকে। আজ সকালে জানতে পারি ওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যেভাবে কাপড় খোলা অবস্থায় ওকে পাওয়া গেছে, তাতে আমাদের সন্দেহ ওকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ওর আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই। দোষীদের শাস্তি চাই।