রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পটাশপুর, বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে

0
84

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর। এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের নেতাকর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহত বিজেপি কর্মী সঙ্কটজনক অবস্থায় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে এক ব্লকের গোকুলপুর এলাকায়।

বিজেপি অভিযোগ, পটাশপুর এক ব্লকের গোকুলনগর গ্রামের সঞ্জয় দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিজেপি দল করার অপরাধে তৃণমূল মিথ্যা মামলার দেয়। ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছাড়া ছিল সঞ্জয়। কালীপূজার রাতে বাড়ি ফিরে সঞ্জয়। স্থানীয় একটি বাজারে দেখতে পেয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা এসে বেধড়ক মারধর করে।

- Advertisement -

তারপরে ওই বিজেপি কর্মীরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনা জানতে পেরে থানায় হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতা মোহনলাল শী সহ একাধিক বিজেপি কর্মী সর্মথকরা। পুলিশের কাছ থেকে তাদের দলের কর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে জামিনে মুক্ত করেন। বিজেপি কর্মী সঞ্জয়কে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। রাতেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ।

বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীর সঞ্জয়কে বেধড়ক মারধর করে। রাতেই কর্মীর বাড়িতে পূর্ণরায় হাজির হয়। উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এগরা হাসপাতালে ভরতি করেন। এলাকার বিজেপি নেতা মোহনলাল শী জানান, সঞ্জয়কে তৃণমূলের লোকজন নানা মিথ্যা মামলায় দেয়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। শনিবার কালীপুজোর দিন ঘরে ফেরেন সঞ্জয়।

তিনি বলেন, ‘‘ঘর থেকে বেরিয়ে স্থানীয় বাজারে গেলে তৃণমূলের লোকজন তাঁকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে আমরা সঞ্জয়কে থানা থেকে জামিনে মুক্ত করি। রাতেই আবার বাড়িতে হামলার চালায়। আহত কর্মীকে চিকিৎসা জন্য এগরা হাসপাতালে ভরতি করি। কর্মী সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ করব।’’

যদিও এই সমন্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পীযূষ পণ্ডা জানান, ওই যুবক সিপিএম থেকে বিজেপিতে এসেছে। এলাকায় সে দীর্ঘদিন নানাভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাই এলাকার মানুষ তাকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে তৃণমূলের লোকজন কাউকে মারধর করেনি। স্থানীয় বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। এই সব করে বিজেপি প্রচারে আসার চেষ্টা করছে। পটাশপুর থানার পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।