বিয়ের ৯ মাসের মধ্যেই উদ্ধার নববধূর ঝুলন্ত দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা, তদন্তে পুলিশ

0
61
couple died

কাঁথি: ভালোবেসে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল যুবক-যুবতী। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই সেই ভালোবাসার চরম পরিনিতি। সদ্য বিবাহিত বধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। খুন নাকি আত্মঘাতী তা নিয়ে শুরু হয়েছে একাধিক রহস্য। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ঢোলমারি এলাকায়।

আরও পড়ুন: রাজ্যের সাতটি জেলায় সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে ব্রডব্যান্ড ও ইন্টারনেট পরিষেবা

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, গত নয় মাস আগে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সিকদারচক গ্রামের সুমিতা জানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢোলমারি গ্রামের শম্ভু মাইতি। এরপর দুই পরিবারের অমতে পালিয়ে একটি মন্দিরে বিবাহ করেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন অন্যত্র থাকার পর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন শম্ভু।

আরও পড়ুন: Sexually Assaulting: মা’য়ের বয়ানের ভিত্তিতে ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের জন্য বাবার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা

কিন্তু, কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকত শম্ভু। শ্বশুর শ্বাশুড়িকে নিয়ে বাড়িতেই একাই থাকত সদ্য বিবাহিত সুমিতা। রবিবার সকালে বাড়ির কড়িকাঠে কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় বধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর তারা প্রতিবেশীকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়।পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। যদিও শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমিতা। যদিও মৃতার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

কাঁথি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে”।

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন ” ওই বধুর উপর প্রায়ই নির্যাতন করা হত। এই মৃত্যুর তদন্ত চাই। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানাই “।