সুন্দরবনে ক্রমেই বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, তৈরি প্রশাসন

0
66

সুদেষ্ণা মণ্ডল , দক্ষিণ ২৪ পরগনায় : শক্তিবৃদ্ধি করে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আজ, ১৪ মে রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি এটি ল্যান্ডফল করবে। বাংলাদেশের কক্সবাজার মহেশখালী টেকনাফ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। তবে এর পরোক্ষ প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে বাংলায়।

উপকূলে শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বইছে হালকা ঝোড়ো বাতাস। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কম । সোমবার থেকে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। মোকার আগাম সতর্কতা হিসেবে শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূল থানাগুলোতে মাইকে প্রচার শুরু করেছিল প্রশাসন। শনিবার থেকেই কুলতলি থানার কৈখালী, মাতলা নদীতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে৷ নদী উপকূল এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের সাবধান করা হচ্ছে।

- Advertisement -

কুলতলি ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার, ত্রিপল মজুত করা হয়েছে । সুন্দরবনের প্রতিটি এলাকায় বিশেষ নজরদারি করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া দাপট। ব্লক প্রশাসন ও জাতীয় বিপর্যয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং। উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবারের।

আরও পড়ুন: বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতন করতে অভিনব পন্থা গ্রামবাসীদের