পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, এবার হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকায় বাড়তে চলেছে আশাকর্মীদের দায়িত্ব

0
42
state heath department notification on child breathing problem

কলকাতা : পরিস্থিতি যে বেশ উদ্বেগজনক তা বেশ স্পষ্ট। সম্প্রতি শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়ছে। রাজ্যে বেশ কয়েক জন শিশুর মৃত্যুও হয়েছে।পরিস্থিতি সামলাতে এ বার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য (state health department )দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে রাখা হয়েছে ১০ টি নির্দেশিকা।

আরও পড়ুন :সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ, হুক্কাবার মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কলকাতা পুরসভা, আগামীকাল শুনানি

- Advertisement -

মূলত সরকারি হাসপাতালগুলিকে এআরআইতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টার জন্য এআরাইতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। ওপিডিতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা করাতে আসে। তাদের যাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, তাই এআরআইতে আক্রান্তদের জন্য আলাদা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা চালু করতে হবে। সব হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে এক জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওপিডি শেষ হয়ে গেলেও থাকতে হবে তাঁকে।হাসপাতালের সুপারের সুপারিশ ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে সেখান থেকে রেফার করা যাবে না। যেখানে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে শয্যা রয়েছে কিনা, জেনে নিতে হবে। ভেন্টিলেটর-সহ শিশুদের যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রি মজুত রাখতে হবে। প্রতি দিন নজরদারি চালাতে হবে। সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সিনিয়র রেসিডেন্ট-সহ জুনিয়র চিকিৎসকদেরও এই ক’দিন এআরআই আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় নিয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন :সুকান্তকে চ্যালেঞ্জ ‘কম্পার্টমেন্টাল বিধায়ক’ উদয়নের, পদত্যাগ করে ভোটে লড়াইয়ের ডাক

আরও পড়ুন :“আমাকে জোর করেও দুর্নীতিপরায়ণ করতে পারবেন না”, ইস্তফাপত্রে সিসোদিয়ার নিশানায় কে

সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার একটি এমার্জেন্সি নম্বর চালু করেছে। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য শিশুদের মাস্ক পরতে হবে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য আশা কর্মীদের সাহায্য নিতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় (state health department )। এআরআইয়ের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বিধান চন্দ্র রায় মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে হাব গঠন করতে হবে।