খাস খবর ডেস্ক: দু’জনেই তারকা৷ দু’জনেই বহিরাগত৷ এবং দু’জনেই রাজনীতির ময়দানে কার্যত ‘শিশু’!
অমিলও অনেক৷ তবে সেসবকে দূরে সরিয়ে রেখে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিধানসভায় পাকাপাকি প্রবেশের বন্দোবস্ত করতে দিন-রাত এক করে দু’জনেই জন সংযোগে ব্যস্ত৷
আরও পড়ুন: জিতলে সিকান্দার, হারলে বিশ্বাসঘাতক
অরুন্ধতী মৈত্র এবং অঞ্জনা বসু৷ অরুন্ধতী অবশ্য লাভলি নামেই পরিচিতি৷ যদিও ‘জলনূপুর’ ধারাবাহিকের দৌলতে লাভলির নাম ঢাকা পড়ে সামনে এসেছিল কাজল৷ ফলস্বরূপ, প্রচারে গিয়ে আজও তাঁকে শুনতে হয় কাজল ডাক৷ রাজনীতির ময়দানে লাভলি ওরফে অঞ্জনার চেয়ে অবশ্য কিছুটা পোক্ত বিজেপির টেলি তারকা অরুন্ধতী মৈত্র৷ বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রাজনীতির ময়দানে মানে গেরুয়া শিবিরে ওঠা-বসা শুরু করেছেন৷
প্রচারের পাশাপাশি বহিরাগত তকমা ঘুচিয়ে ‘ঘরের মেয়ে’ হয়ে উঠতে দু’জনেই তৎপর৷ ছকে বাঁধা প্রচারের পথ ভেঙে লাভলি কখনও এলাকার মানুষের সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলছেন তো কখনও বা সাইকেল চালাচ্ছেন৷ পিছিয়ে নেই অঞ্জনাও৷ এলাকায় পাকাপাকি ঘাঁটি গাড়তে ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে দিয়েছেন৷ বলছেন, ‘‘এবার আর আমাকে কেউ বহিরাগত বলতে পারবে না৷ এখন থেকে পাকাপাকি এখানেই থাকব৷’
ইতিমধ্যে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন লাভলি৷ কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৭৫০ গ্রাম সোনার গয়না আছে৷ যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে আইপিএস স্বামী সৌম্যর কাছে আছে ৪০০ গ্রাম সোনার গয়না। বর্তমান বাজারদর প্রায় ১৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা। নেই কোনও ব্যাংক ঋণও৷ লাভলির নামে রয়েছে একটি শেভ্রোলে স্পার্কের গাড়ি৷ তবে নিজস্ব কোনও বাড়ি বা জীবন বিমার উল্লেখ নেই তাঁর জমা দেওয়ায় হলফনামায়৷
কমিশনে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে তাঁর উপার্জনের পরিমাণ ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৮৩ টাকা। পরের আর্থিক বছরে অর্থাৎ করোনার সময়ে সেই পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৮০ টাকা। বর্তমানে হাতে রয়েছে নগদ ২০ হাজার টাকা৷ এছাড়াও স্টেট ব্যাংকের একটি শাখায় লাভলির নামে আছে ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্নাতক লাভলি অভিনয়কেই তাঁর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়৷ বলছেন, ‘‘প্রচারে মানষের যথেষ্ট ভালবাসা পাচ্ছি৷ এলাকার মানুষের কাছে ঘরের মেয়ে হয়েই কাজ করতে চাই৷’’