হাসপাতাল তো নয়, যেন জীবাণুর ডিপো

0
37

ব্যারাকপুর: ইতি উতি পড়ে রয়েছে করোনার মোকাবিলায় ব্যবহৃত পরিত্যক্ত পিপিই কিট৷ পড়ে রয়েছে নোংরা আর্বজনাও৷ উপায়ন্তর না থাকায় সেসবের পাশ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের৷ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের সুরে তাঁরা বলছেন, ‘‘হাসপাতাল তো নয়, যেন জীবাণুর ডিপো!’’ বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের হালটা এমনই৷ দিনের পর দিন একই নোংরা পরিস্থিতি দেখার পর এবার প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন রোগীর পরিজনেরাও৷

আরও পড়ুন: ফুসফুস প্রতিস্থাপনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হবে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে

- Advertisement -

তাঁরা বলছেন, ‘‘এখানে মানুষ দৌড়ে আসে প্রিয়জনের জীবন বাঁচাতে৷ প্রয়োজনে নিজের সঞ্চিত অর্থও শেষ হয়ে যায়৷ অথচ হাসপাতালের পরিবেশ এতটাই অস্বাস্থ্যকর যে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষজনের আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে৷ অথচ মানুষের উপায়ন্তর না থাকায় তাঁরা বাধ্য হন এখানে আসতে৷ সব জেনেও কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীন৷’’

আরও পড়ুন: জামাই ষষ্ঠীর সকালে বালির বাজারে আগুন, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য জেলার উপরে প্রায় ২৫লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে নির্ভরশীল৷ একদিকে যেমন করোনা মহামারীর জন্য লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, অন্যদিকে আরও বিভিন্ন রকম চিকিৎসার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের পাশাপাশি আসা পরিজনেরাও যেকোনও মুহুর্তে এই সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় কে নেবে?

আরও পড়ুন: অসুস্থ মা-কে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে অভিষেক

রোগীর আত্মীয় শ্যামল প্রামাণিক ও সেরাফত আলী সরদার বলেন, ‘‘এসেছি করোনা টিকা নিতে৷ অথচ জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অবস্থাটা দেখুন৷ যত্রতত্র পিপিইকিট পরে রয়েছে। কোথাও গাড়ির পার্কিংয়ে পাশে আবার কোথাও যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে। যা দেখছি, তাতে তো টিকা নিলেও ফের সংক্রমণের দাপটে অন্য কোনও রোগকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরতে হবে৷’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷