নিজেরাই নিজেদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়লেন বাংলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকেরা

0
131

কৃষ্ণনগর: বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘরের অভাব। পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, মা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। তাই বাঁধের ওপর প্যান্ডেল করে নিজেরাই নিজেদের কোয়ারেন্টাইন থাকার ঘর তৈরি করলেন।

রিপন, অসীম, বিশ্বজিৎ, প্রসেনজিৎ, সহদেব ওরা প্রত্যেকেই প্যান্ডেলের কাজ করেন অন্ধপ্রদেশে। ওরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ি ওদের চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের কার্গিল পাড়ায়। ওদের কারও বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক বাবা,মা কারও ছোট ছেলে মেয়ে।

- Advertisement -

বাড়িতে নেই পর্যাপ্ত ঘর। নেই আলাদা শৌচাগার। কিন্তু মারণ রোগ করোনার কাজ কর্মও বন্ধ। চলছে দেশজুড়ে লকডাউন। ট্রেন,বাস সব যানবাহনই বন্ধ।

গত দুমাস ধরে নিজেদের পয়সা খরচ করে ওখানেই থেকে গেছেন ওরা। লকডাউন উঠে যাবে এই আশায়। আবার ওরা কাজ করতে পারবে। উপার্জনের টাকা পয়সা সংসারে পাঠাতে পারবে। কিন্তু দিনের পর দিন লকডাউন সময় সীমা বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা,মা স্ত্রী ও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে। লকডাউনে সমস্যায় রয়েছে পরিবার।তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই বেসরকারি বাস ভাড়া করে ফিরে এসেছেন বাড়িতে। শুক্রবার ফিরেছেন ২২ জন, আজ ফিরেছেন ৩৫ জন।

ফিরে আসার পর ওদের প্রত্যেকেই কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এবার ওদের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।কিন্তু ওদের বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব। এছাড়া বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, মা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। ইতিমধ্যে আগে যারা ফিরেছেন গ্রামে ওদেরও একই সমস্যা হওয়ায় ওরা অনেকেই স্কুল বাড়ি, ক্লাব ঘরেও আশ্রয় নিয়েছে।

কিন্তু গ্রামে এমন কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ওরা আশ্রয় পাবে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির কাছে দক্ষিণপাড়ায গঙ্গার বাঁধের ওপর নিজেরাই প্যান্ডেল বেঁধে ঘর বানিয়েছে। সেখানেই দূরত্ব মেনে ওরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।