ফুরফুরা শরিফে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন করেছ মমতা, দাবি ত্বহার

0
818

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে ফুরফুরা শরিফের জন্য বিপুল উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের শাসনকালে বিন্দু মাত্রও উন্নয়ন পৌঁছায়নি ফুরফুরায়। এমনই দাবি করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী।

আরও পড়ুন- ২০২১ সালে বাংলায় মা-মেয়ের ইজ্জত বাঁচানোর ভোট হবে: ত্বহা

- Advertisement -

শনিবার হাওড়ার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের লিচুবাগানে এক রক্তদান শিবির ও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে এলাকায় (সাউথ হাওড়া জোনে) কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ত্বহা সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বর্তমান শাসক তৃণমূলের প্রশংসা করেন ফুরফুরার পীরজাদা।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্বহা সিদ্দিকী বলেছেন যে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে ফুরফুরা শরিফের অনুষ্ঠানে ৩৪ থেকে ৩৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু আগের বাম সরকার ফুরফুরার জন্য কিছুই করেনি। একটা বাল্ব জ্বালানোর ব্যবস্থাও করেনি বলে অভিযোগ করেছেন ত্বহা সিদ্দিকী।

আরও পড়ুন- উপমহাদেশের সকল মুসলিমই আদতে হিন্দু, দাবি তসলিমার

২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই ফুরফুরার চেনা ছবি বদলে যায়। ত্বহা সিদ্দিকী বলেছেন, “৩৪ বছরে যা কাজ হয়নি, এই সরকার আসার পর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ফুরফুরা শরিফে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন করেছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “কিন্তু যত চাওয়া ততটা আমরা পাইনি। এটা মমতা কেন, আল্লা দিলেও আপনি মানতে রাজি হবেন না।”

কোনও অবস্থাতেই যাতে বাংলার মাটতে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জণ্য সাধারণ জনগণকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। তিনি জানিয়েছেন যে সাধারণ মানুষ যে কোনও দলকেই ভোট দিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতা পেলে মা-মেয়েদের সম্মান থাকবে না।

আরও পড়ুন- হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে শান্তিনিকেতনকে বাঁচাতে পথে নামল বাংলাপক্ষ

এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে ত্বহা সিদ্দিকী আবেদন করেছেন, “কি হিন্দু, কি মুসলমান আমরা যারা এই বাংলায় আছি, এই ভোট আপনার আমার মায়ের ইজ্জত বাঁচানোর ভোট হবে। আপনার আমার মেয়ের ইজ্জত বাঁচানোর ভোট হবে। কাকে ভোট দেবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।কিন্তু, আপনারা সাম্প্রদায়িকের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবেন।”