“টাটাদের তাড়িয়ে রাজ্যে লুটেরা এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী”

0
27
surjya kanta mishra

জলপাইগুড়িঃ “৯০ শতাংশ তৈরি হয়ে যাওয়া একটি কারখানাকে তাড়িয়ে লুটেরা পুঁজিপতি আদানিকে এই রাজ্যে লুট করতে নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ সবই দেখছেন, বুঝছেন। শনিবার সিপিআইএম জলপাইগুড়ি (jalpaiguri ) জেলা দফতরে বসে এমনটাই বললেন রাজ্যে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র (surhyakanta mishra)। রাজ্যে বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে করা নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই প্রবীণ বামপন্থী নেতার (left leader) মন্তব্য, যে দলের মাথাই ঠিক নেই সেই দলের নেতা কর্মী বা মন্ত্রীদের বিষয়ে আর কত বলব। পাশাপাশি রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট নিয়ে মুখ খোলেন বাম নেতা।

আরও পড়ুন : ভোটের মুখে অস্বস্তিতে বিজেপি, শুভেন্দু গড়ে পদত্যাগ একাধিক দাপুটে নেতার

- Advertisement -

সম্প্রতি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বামেদের ভূমিকা নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বামেরা চিরদিন বিরোধিতা ভাল করতে পারে। আন্দোলন করতে পারে সরকার চালাতে পারে না, উন্নয়ন করতে পারে না তাই লোকে বিসর্জন দিয়েছে তাই তারা আন্দোলন করবে সেটা দেখে দেখে বাংলার মানুষের ধারণা হয়ে গিয়েছে ওটাই ওদের ভালো কাজ। সেইজন্য পশ্চিমবাংলার লোক বিরোধিতা সবাই করছে সমস্ত দল করছে যে ধরণের অমানবিক ব্যবহার করেছে তাদের অধিকার কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সবাই তার বিরোধিতা করছে।”

আরও পড়ুন :ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-র মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন, প্রস্তুতি পরিদর্শনে পুর আধিকারিকরা

প্রসঙ্গত সল্টলেক এপিসি ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বুধবার মধ্য রাতে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার এসএফআই (SFI) এবং ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেখানেই সায়ন্দীপ মিত্র, পলাশ দাস সহ বেশ কয়েকজন বাম নেতা (left leader) কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যের পর তাঁদের ছেড়ে দিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। “সিটি সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে একটি চায়ের দোকানের চা খাচ্ছিলাম। সেখান থেকে চোর- দুষ্কৃতীদের যেভাবে ধরে সেইভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ” ছাড়া পেয়ে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিলেন বাম নেতা সায়ন্দীপ মিত্র, পলাশ দাসরা। তুলে ধরএ ছিলেন পুলিশি গুণ্ডামির অভিযোগ। ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মীরা সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয়। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। তবে মাঝপথেই মিছিল আটকে দেয় বিধাননগর পুলিশ। মীনাক্ষী সহ বাম ছাত্রযুবদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে-চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এর প্রতিবাদেই থানার ভিতরে ঢুকে আন্দোলন চালায় বিক্ষোভকারীরা। মীনাক্ষীর অভিযোগ, ‘যেখানে বিক্ষোভ করা হয়েছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। এরপরও পুলিশ জোর করে আটক করে।’