পশ্চিম বর্ধমান: এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল৷ কিন্তু তা আর হল না৷ কারণ এক মাস হয়ে গিয়েছে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ছাত্রীর (Madhyamik candidate)৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে পরিবার৷ অবশেষে বাধ্য হয়ে পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন৷ দায়ের করলেন অভিযোগ৷
বিস্তারিত খবর, লাইভ ভিডিও সহ সমস্ত রকম আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই পড়ুয়া৷ তাকে অপহরণ করা হয়ে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার৷ থানায় অভিযোগ জানালেও কোনো কাজ হয়নি বলে দাবি নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের৷ ওই পড়ুয়ার নিখোঁজ হওয়ার পিছনে তারই এক শিক্ষককে দায়ী করছে৷ এবং ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই শিক্ষক৷
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন, আহত একাধিক যাত্রী
সূত্রের খবর, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ অন্ডাল থানার কাজোরা এলাকায় টিউশন পড়তে যায় ওই ছাত্রী৷ সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি মেয়ে৷ এরপরই পরিবার তাকে খুঁজতে ওই শিক্ষকের বাড়ি যান৷ কিন্তু সেখানে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে৷ শিক্ষকের খোঁজ করেন৷ অভিযোগ, তাঁকেও এলাকার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো ভাইরাসের উপদ্রবে বিশেষ ব্যবস্থা পরীক্ষাকেন্দ্রে
এরপর অণ্ডাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার৷ অভিযোগ, অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি৷ এরই মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁদের মেয়েকে৷
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের
অবশেষে আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে পুলিশ সঠিক কাজ না করার অভিযোগ তুলে নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানায়৷ মা-বাবার কাতর নিবেদন নাবালিকা মেয়েকে যে করে হোক তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার৷ অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম গোবিন্দ শর্মা৷ ঘটনার পর থেকে তিনিও পলাতক৷
আরও পড়ুন: মাধ্যমিককে প্রশ্নফাঁস রুখতে আটোসাটো পর্ষদ
ওই নিখোঁজ নাবালিকার মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিত৷ কিন্তু প্রায় এক মাসের বেশি সময় হয়ে গেল তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ টিউশন থেকেই নিখোঁজ হয়েছে সে৷ সেখানে গিয়ে মেয়েকে খুঁজে পায়নি৷ এমনকি ছিল না শিক্ষকও৷ আমার মেয়ের সঙ্গে ওই শিক্ষকের কোনো সম্পর্ক ছিল না৷
সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor
এই বিষয়ে মেয়েটির মা বলেন, “১১ই জানুয়ারি বিকেল ৬টায় আমার মেয়ে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা ওই কোচিং সেন্টারেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই শিক্ষককে পাইনি। আমরা ওই শিক্ষককে চিনিও না। আর আমার মেয়ের সঙ্গে ওই শিক্ষকের কোনও সম্পর্কও ছিল না৷”