মমতার সরকারকে ‘চালচোর’ বলে কটাক্ষ কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের

0
56

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: বাংলায় যখন আমফান হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখেছিলেন। তিনি ১০০০ কোটি টাকা সাহায্য দিয়েছিলেন। সেই টাকা কোথায় গিয়েছে পিসি বলতে পারবে না। এই চালচোর সরকার সকলের পয়সা খেয়ে নিচ্ছে। গরিবের পয়সাও খেয়ে নিচ্ছে। এই সরকার আর রাখার দরকার নেই বলে কটাক্ষ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷

বিজেপি নেতা কটাক্ষ করে আরও বলেন, “এই বাংলার মাটিতে বাংলাদেশের দুষ্কৃতকারীদের আগমন ঘটছে। বাংলার মাটি আজ সুরক্ষিত নেই। মা আর সুরক্ষিত নেই, মাটিও সুরক্ষিত নেই। পশ্চিমবাংলায় আপনারা কংগ্রেসের সরকার দেখেছেন। আপনারা সিপিএমের সরকারও দেখেছেন। সিপিএমের সরকারের সময়েও হত্যা হয়েছে, লুটপাট হয়েছে।’’

- Advertisement -

তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা সোনার বাংলা গড়ার আশায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসনে বসিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একবার নয় দুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেছেন। যেখানে মায়ের সুরক্ষা নেই, বোনের সুরক্ষা নেই, সেখানে সেই রাজ্যের একজন মহিলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই।”

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি তার শক্তি বৃদ্ধি করতে মাঠে নেমে পড়ল। শনিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিজেপি একটি জনসভা করেন। এদিন সভার রামনগরের একাধিক সিপিএম থেকে প্রায় ৪০০ জনের বেশি কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শুভেন্দু অধিকারী গড়ে বড়সড় ভাঙন বলে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার হুংকার দিয়ে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পাশাপাশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করে বাংলায় বিজেপি শাসন এনে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন তিনি৷

এদিনের সভাতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও কাঁথি সংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সম্পাদক নবীন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলাই প্রমুখ।