CPIM : পুরনো চাল ভাতে বাড়ে : দলের মরা গাঙে জোয়ার আনতে ভরসা সেই জ্যোতি বসুই

0
53

খড়দহ: টানা ৩৪ বছর মসনদে থাকার পর মাত্র ১০ বছরের ব্যবধান৷ ২৩৫ থেকে ০ তে এসে ঠেকেছে বামেরা৷ স্বভাবতই, আর দৈন্যতা লুকানোর কোনও বিষয় নেই৷ বরং খুলামখুল্লা নিজেদের দুরবস্থা সামনে এনে বিধানসভায় প্রবেশের জন্য ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভোট দাতাদের কাছে কাতর আর্জি জানাতে দেখা গেল খড়দহের সিপিআইএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসকে৷

আরও পড়ুন: Ration dealer : ২০০৬ সালের রেশন স্মৃতি উস্কে গাইঘাটায় রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পথ অবরোধে বাসিন্দারা

- Advertisement -

কোনও রাখ ঢাক না রেখে সরাসরি ভোটদাতাদের উদ্দেশ্যে সিপিএম প্রার্থীকে কাতর কন্ঠে বলতে শোনা গেল, ‘‘জ্যোতিবাবুর পার্টির একটা মুখ বিধানসভায় দিন৷ এতে সরকার বদলাবে না৷ মন্ত্রী বদলাবে না৷ বরং একটা গঠনমূলক বিরোধী কণ্ঠস্বর বিধানসভায় পাবেন।”

বৃহস্পতিবার খড়দহ উপ নির্বাচনে প্রচারে নেমে সাধারন মানুষের কাছে এই অভিনব পদ্ধতিতে হাতজোড় করে ভোট প্রচার করতে দেখা গেল বাম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসকে৷ সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। এদিন প্রচার শুরু হয় পঞ্চাননতলা মোড় থেকে৷ খড়দহ পুর এলাকার ১৯ নম্বর, ১৪ নম্বর ১৭ নম্বর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করা হয়৷ সেখানে বাম প্রার্থী ও কর্মীরা ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে একটা কেন্দ্রে তৃণমূল হারলে তাতে সরকারের কোনও ক্ষতি হবে না৷ কিন্তু খড়দহের থেমে থাকা উন্নয়ন এগোবে। আর সেই সঙ্গে বিধানসভাতেও বিরোধী মুখ যাবে যে উন্নয়নের পক্ষে কথা বলবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে হতে চলেছে উপ নির্বাচন৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লড়াইয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দী হিসেবে সিপিএম নয় এখানে মুখোমুখি লড়াই হতে পারে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বনাম বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার৷ তবে সিপিএমের নয়া কৌশলে একটা বিষয় স্পষ্ট, বিনা যুদ্ধে তারাও জমি ছাড়তে নারাজ৷