Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদার নামে জুলুমবাজি, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেত্রী, নীরব প্রশাসন

0
39

খাস খবর ডেস্ক: দেখতে দেখতে পুজো চলে এল, মাঝে মাত্র কটা দিন বাকি। প্রকৃতি আহ্বান জানাচ্ছে দেবী দুর্গাকে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় উঠেছে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ। তাও আবার খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ jhargram: চিড়িয়াখানা থেকে উধাও বাঘ, আতঙ্কে তটস্থ জঙ্গলমহল

- Advertisement -

জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরে চাঁদার জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। ধুপগুড়ি শহরে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। রাস্তার মাঝে রীতিমতো চেয়ার লাগিয়ে অবরোধ। ধূপগুড়ি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাস্তার ওপর চেয়ার লাগিয়ে অবরোধ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। চাঁদা তুলছেন শাসক দলের কাউন্সিলর।

আরও পড়ুনঃ Maldha : ভাঙা-গড়ায় খেলায় শাসকের ‘চক্রান্তকে কিস্তিমাৎ করে পঞ্চায়েত নিজেদের দখলেই রাখল বিজেপি

স্থানীয়দের অভিযোগ, ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকার। সন্ধ্যা হতেই পাড়ার মহিলাদের নিয়ে রীতিমতো চেয়ার পেতে চাঁদা তুলছেন তিনি। যেখানে প্রায় প্রতিটি পূজা কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে থানার পাশেই শাসকদলের একজন মহিলা কাউন্সিলর রাস্তা আটকে চাঁদা তুলছেন। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটা তো জুলুমবাজি হচ্ছে। কী আর বলা যায়। রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিচ্ছে। তারপরও সাধারণ মানুষের থেকে এইভাবে টাকা তোলার কোনও মানে আছে কী! ফূর্তি করার জন্যই টাকা তোলা হয়। সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি এই সময় এমনিতেই খারাপ। তারপর টাকা তোলার জন্য চাপ দেওয়া হলে আর কী বলার আছে।”

এদিকে, রাস্তা আটকে এইভাবে বসে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকের দাবি। গ্রামের ছোটো পুজোগুলির উদ্যোক্তরা অনেক সময়েই রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা কোনও গাড়ি চালক ও বাইক আরোহীর কাছ থেকে চাঁদা নেন। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের আটকও করা হয়।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেখানে দাঁড়িয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে তার ঢিল ছোড়া দুরত্বে থানা। আর সেখানেই যখন রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে, তখন প্রশাসন কেন দেখেও দেখছে না। তবে কি শাসকদলের কাউন্সিলর বলেই দেখেও না দেখার ভান করছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর বলেন, “রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। তবুও লোকে ভালোবেসে ১০টাকা, ২০ টাকা যে যেমন পারছেন দিচ্ছেন। পুলিশের অনুমতি নিয়েই রাস্তায় বসেছি আমরা।”

ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “এবার ৪১ টি পুজো হচ্ছে। প্রত্যেক কমিটিই যাতে টাকা পায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে জানিয়েছি। ধূপগুড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুজোও টাকা পেয়েছিল।” তবে রাস্তা আটকে টাকা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও খবর আসেনি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করছি।”