হাঁসখালি: হাঁসখালির নাবালিকা গণধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গোয়েন্দাদের কাছে৷ নাবালিকাকে ‘ভোগ’ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে সেই সন্ধ্যেয় ফাঁকা বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেছিল তৃণমূলের দাপুটে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালী৷ ইতিমধ্যেই জেরায় এই বিষয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে৷ এবার এই বিষয়ে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে মামলার তৃতীয় অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করল সিবিআই৷ তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রঞ্জিত মল্লিক নামে ওই অভিযুক্ত৷ এদিন তার বাড়ি সিল করে দিল সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল।
ইতিমধ্যেই হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের ভার নিয়েছে সিবিআই। পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তারা। সংগ্রহ করেছেন নমুনা। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীর বাড়ির তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে তারা। যে ঘরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেখানকার রক্ত মাখানো বিছানার চাদর সহ একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। আগেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালী এবং তার বন্ধু প্রভাকর পদ্মার গ্রেফতার হয়েছিল। এবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন অভিযুক্তের নাম উঠে এল এই ধর্ষণকাণ্ডে।
সূত্রের খবর গাড়াপোতা বেলতলা এলাকার বাসিন্দা কঞ্জিত মল্লিক। জানা যায় মূল অভিযুক্ত সোহেল এবং প্রভাকরের বন্ধু রঞ্জিত। ঘটনার দিন ওই রাতে রঞ্জিত মল্লিক নিজে উপস্থিত ছিল। যদিও একসপ্তাহ আগে থাকতেই পলাতক রঞ্জিত মল্লিক। তার বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। একা মাকে নিয়েই বাড়িতে থাকত রঞ্জিত মল্লিক। রঞ্জিত মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সোহেলের সঙ্গে সেই রাতে ওই নাবালিকার ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল প্রভাকর ও রঞ্জিত৷
আরও পড়ুন: ‘বাবা ধর্ষণ করেছে, শুনে মা বলেছিল- পাঁচকান করিস না’, থানার দ্বারস্থ হল মেয়ে
