নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর ও মালদহ: জন বিরোধী, কৃষক বিরোধী, কালা কৃষি বিলের প্রতিবাদে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার ডাক বাংলো মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূল৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুইঁয়া, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি, পিংলা তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ সবরাতি। এরপর একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়।
অবস্থান সভায় সাংসদ মানস ভুইঁয়া জানান, দেশের কৃষকদের কাছে আজ কালা দিন৷ দেশের ১৩৫ কোটি মানুষের মধ্যে ১০২ কোটি মানুষের বাস গ্রামে৷ এরমধ্যে বেশিরভাগই কৃষির উপর নির্ভরশীল৷ কালা কৃষি বিল পাশ করে কেন্দ্রের জনবিরোধী, কৃষক বিরোধী বিজেপি সরকার কৃষকদের সব অধিকার কেড়ে নিল৷ কৃষকদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া হল৷ যাঁরা অন্নদাতা, সারা বছর অন্নের জোগান দেন তাঁদের সব অধিকার কেড়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হল৷
এখন থেকে ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরাই হবেন তাঁদের ভাগ্যনিয়ন্তা৷ তাঁরাই কৃষকদের মাথায় ছড়ি ঘোরাবেন৷ তাঁরাই ফসলের দাম ঠিক করবেন৷ কোথায় চাষ হবে, কোথায় ফসল বিক্রি করা হবে কিছুতেই আর কৃষকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না৷ সবটাই ওই পুঁজিপতিরা নিয়ন্ত্রণ করবেন৷ এরজন্য তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে কৃষকদের৷ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যে যা খুশি দামে বিক্রি করতে পারবেন৷
যত খুশি মজুত করতে পারবেন৷ সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না৷ কোনো শৃঙ্খলা থাকবে না৷ এর ফলে কালোবাজারি বাড়বে৷ কৃষক সর্বনাশা এই বিলের জন্য বিজেপিকে যে চরম মূল্য চোকাতে হবে তা হুঁশিয়ারি দিয়ে মানস বাবু বলেন, ‘‘এই বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় প্রথমেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা৷ তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে সর্বস্তরের কর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদ ও আন্দোলনে সামিল হয়েছেন৷’’
অন্যদিকে, শনিবার পুরাতন মালদহের বাইপাস ছোট সুজাপুর এলাকায় ধানের জমিতে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করল জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে নেতৃত্ব দেন জেলা যুব তৃণমূল প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ দাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূল প্রেসিডেন্ট হারেজ আলী সহ অন্যান্য যুব তৃণমূল কর্মীরা।
প্রায় ঘণ্টা তিনেক টানা মাঠে বসে রোদের মধ্যে প্রতিবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের। এই কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে সেখানে শ্লোগান দেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। এবং বক্তব্য রাখেন জেলা যুব তৃণমূল প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন করে যাব৷ যাতে কৃষকরা কোনমতেই বিপদে না পড়ে এই কৃষিবিল নিয়ে।’’
