Cyclone Jawad: জলের তলায় চাষের জমি, মাথায় হাত কৃষকদের

নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বৃষ্টি

0
72

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে শুরু হয়েছে লাগাতার বৃষ্টি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের একাধিক এলাকা। জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমি। চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় ধান ও আনাজ চাষে বড় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Covid19: করোনার সংক্রমণ রুখবে চিউয়িং গাম, চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের

- Advertisement -

নিম্নচাপজনিত বৃষ্টিতে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমা জুড়ে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলার ফাঁকেই এই মহকুমার অন্যতম অর্থকরী ফসল আলু লাগানোর কাজ চলছিল জোরকদমে। তার মাঝেই এই ‘অকাল বৃষ্টি’তে জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা আলু আর সরষে চাষের জমি। সঙ্গে মাঠে পড়ে রয়েছে পাকা ধান। মাঠের ধান বাড়িতে তোলার আগেই তা জলের তলায়। সব মিলিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে মাথায় হাত অসংখ্য সাধারণ কৃষিজীবি মানুষের।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় ১৯ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বিপুল পরিমান বৃষ্টি শীতকালীন চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই ক্ষতিকারক বলেই মনে করছেন চাষিরা।

আরও পড়ুনঃ Sundarban: বাঘে-জলে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা

আলু চাষী শেখ বাবলু আলি, শেখ কোচন, সম্রাট মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আলু চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে আছে। পাশাপাশি ধান ও সরিষা চাষেও প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা। অনেক বেশি দাম দিয়ে আলু বীজ, রাসায়নিক সার কিনে চাষ করেছিলাম। এখন এই ক্ষতি সামলে একেবারেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য মিললে খুব উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

এই বিষয়ে যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র জানান, ‘ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবার ওই মহকুমার কোতুলপুরে বৃষ্টির পরিমান বেশী। ওখানে ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেহেতু বিষ্ণুপুর মহকুমায় সব থেকে বেশী আলু চাষ হয় তাই এই বৃষ্টিতে আলু চাষে বিলম্বিত হবে। এছাড়াও শতকরা ২০ ভাগ ধান এখনও মাঠেই ছিল। সেই ধান ক্ষতি হবে বলেও তিনি জানান।’